কেশবপুর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে অনার্স পড়ুয়া এক যুবকের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো ভিয়েতনামের (রেড) লাল ড্রাগন চাষে সফল হওয়ার মাধ্যমে। শুধু সফলই নয় রীতিমত বিপ্লব ঘঠিয়েছেন তিনি ড্রাগন চাষে। ড্রাগন চাষ করে কেশবপুরের যুব সমাজের কাছে তিনি এখন আইকনে পরিণত হয়েছেন। তার এই বৈপ্লবিক সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক শিক্ষিত যুবক এখন ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বলছি যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ভোগতী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মেহদী হাসান রাজুর কথা। তিনি যশোর এম এম কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী, পড়া-লেখার পাশা-পাশি তিনি একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। ২০২১ সালের ড্রাগন চাষের স্বপ্নটা পরিবারের সহায়তায় বাস্তবায়ন করেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে।
যশোর-চুকনগর সড়কের পাশে আলতাপোল তেইশ মাইল এলাকায় ১০০ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলেন স্বপ্নের ড্রাগন বাগান। তার ওই বাগানে সারা বছর ধরে ৫ জন শ্রমিক জন প্রতি মাসিক ৯ হাজার টাকা মজুরিতে কাজ করেন। শ্রমিকদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা এক হাজার কংক্রিটের খুঁটির মাথায় টায়ারের মাচা। আর তাতেই লাগানো হয় প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন গাছের কান্ড। আর ওই বছরের জুন মাসে প্রাথমিকভাবে ধরণ আসে ড্রাগন গাছে। তবে ২০২৩ সালে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে ফল আসায় বাণিজ্যিকভাবে তিনি ড্রাগন রপ্তানী করছেন। এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত কোনো কোনো খুঁটিতে ৩০/৩৫ টি ফল পেয়েছেন তিনি। অধিকাংশ ফলের ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। সরেজমিনে রাজুর বাগানে যেয়ে দেখা মেলে শ্রমিক আব্দুর রশিদের তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩০০ টাকা মজুরিতে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বাগানে কাজ করেপরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই রয়েছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা রাজু দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করা হয়েছে। গাছে এখনও পর্যন্ত যে পরিমান ফল রয়েছে তা ৩লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, উৎপাদন খরচ বাদে এবছর তার ৫/৬ লাখ টাকা লাভ হবে এবং ফলনের ধারাবাহিকতা থাকলে আগামী বছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ বলেন ড্রাগন চাষ একটি লাভজন ফসল। এর আবাদ প্রসারিত করতে ড্রাগন চাষীদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের আবাদ হয়েছে।
Leave a Reply