ডালিম রেজা কেশবপুর: যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর বাজার থেকে শিকারপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা কারণ না করায় ঐ এলাকার মানুষকে স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের পড়তে হয় বিপাকে। ৩০ বছর আগের দেওয়া ইটের সোলিং ভেঙ্গেচুরে রাস্তাটি ডোবায় পরিনত হয়েছে। বৃষ্টি মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে যানবহনতো প্রতিনিয়ত পা পিচলে ও গাড়ী ডোবায় পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি পাকা করণের দাবিতে এলাকাবাসি একাধিক দপ্তরে আবেদন করলেও তা বরাবরই থেকে যায় উপেক্ষিত।
এলাকাবাসি জানান, কেশবপুর-বেতগ্রাম সড়কের শ্রীরামপুর বাজার থেকে শিকারপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ঐ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পাত্রপাড়া, শিকারপুর, দেউলী, হিজলতলা, ভালুকঘর ও শ্রীরামপুরসহ ৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শিকারপুর বাজারের ব্যবসায়ী দীলিপ রায় দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, এলাকাবাসি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে আসলেও তা আজও বান্তবায়ন হয়নি। যার ফলে উপজেলা সদরে যেতে অতিরিক্ত ৪/৫ কিলোমিটার রাস্তা মাড়াতে হয়। হিজলতলা গ্রামের আব্দুল আহাদ ফকির বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও ওই রাস্তাটি অদৃশ্য কারণে থেকে যায় অবহেলিত। রাস্তাটি পাকা করণ না হওয়ায় এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে, উন্নয়নের স্বার্থে তিনি রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানান। রাস্তাটি পাকা করণ না হওয়ায় এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে, উন্নয়নের স্বার্থে তিনি রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী সায়ফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় যে সমস্ত রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে তাঁর তালিকা করে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই রাস্তাটিও তার ভেতর রয়েছে। আশা করছি ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে। বাকীটাও পর্যায়ক্রমে হয়ে যাবে।
Leave a Reply