নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে “সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এর আয়োজনে এবং নবযাত্রা প্রকল্প ওয়াল ভিশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুস সোবহান এর সঞ্চালনায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা: সাইরিজ মেহেরা সেতু, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শেখ নিয়াজ কাওছার তুহিন, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ গাজী শওকত হোসেন, নব-যাত্রার ইকবাল হোসেন, উন্নয়নের সাইদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলিম আল রাজি টোকন, সুশীলন এর এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সাংবাদিক শাওন আহমেদ সোহাগ, হাবিবুল্লাহ , জাহাঙ্গীর হোসেন, আল নূর আহমেদ ইমন, শিক্ষক সৈয়দ মমিনুর রহমান সহ হাসপাতালে নার্স ও অনন্য স্টপ, এনজিও প্রতিনিধি সাংবাদিক সুধী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মা কিশোরী ও শিশুসহ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন সাধন অপুষ্টি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা এবং জীবনের মান উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পুষ্টি সপ্তাহ কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট জেলা-উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি বিস্তারিত বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুস সুবহান, সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ তৈয়েবুর রহমান সপ্তাহব্যাপী পুষ্টি বার্তা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে, শাল দুধ শিশুর প্রথম টিকা, মেধা বিকাশে শাল দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ এবং ৬ মাস বয়সের পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুসম বাড়তি খাবার দিতে হবে। শিশুর সঠিক ভাবে বেড়ে উঠছে কিনা জানতে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী আয়রন ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। পরিবারের প্রবীণ বৃদ্ধ সদস্যদের পুষ্টি চাহিদার প্রতি নজর দিতে হবে।
Leave a Reply