শার্শা প্রতিনিধি: সীমান্ত পথে আসছে না ভারতীয় পশু। যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে গড়ে উঠেছে ৭হাজার ছোট বড় পশুর খামার। পশু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার। মিটছে পুষ্টি ও মাংসের চাহিদা। ঘুচছে বেকারত্ব। অনেক বেকার যুবক বিদেশ না যেয়ে গরুর খামারে কাজ করে সংসারে ফিরাচ্ছে স্বচ্ছলতা।
দুই বছর আগে সিরাজগঞ্জের সাহাজাদপুর গ্রামের রাকিবুল হোসেন বিদেশ যাওযার জন্য পাসপোর্ট করেন। কিন্ত ৪/৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ না যেয়ে কাজ নেন বেনাপোল বড় আচড়া ডেইরী ফার্মে। এই ফার্মের উপার্যনেই পাল্টে যায় ভাগ্যের চাকা। কুরাবনীর ঈদের পরই খামারে পশু পরিচর্যায ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা। সাড়ে ৫ হাজার দুগ্ধ পশুর খামার ও প্রায় ২ হাজার মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। খামারীরা হয়েছেন স্বাবলম্বী। দেশী বিদেশী জাতের দুগ্ধ গাভী পালনে লাভবান হচ্ছেন তারা। তৈরী হচ্ছে উদ্যোক্তা গরুর খামারে তাদের পরিবারের ভাগ্য বদলে দিযেছে। দুই থেকে ৬টি গরু দিয়ে খামার শুুরু করেন অনেকে। পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জমিতে চাষকৃত ঘাস ও খুড়কুট খাইয়ে লাভের মুখ দেখছেন তারা। ১২ বছরের ব্যবধানে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণ খামারে স্বাবলম্বী খামারীরা। অনেক ডেইরী ফার্ম সেবামুলক হিসাবে এলাকায় দিচ্ছেন দুধ ও মাংসের যোগান। বড়আচড়া এগ্রো ডেইরী ফার্মের ম্যানেজার আসলাম হোসেন ও সফল খামারী আবু তাহের বলেন ২ শতাধিক পশু আছে খামারে। তবে পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাস ও খড়কুটা খাইয়ে পালছেন পশু। দুধের দামও কম। ফলে লাভ ও লস মিলিয়ে সেবামুলক প্রতিষ্টান হিসাবে খামার পরিচালনা করছেন তারা। দুগ্ধ খামারীদের বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ। উপজলায় পালিত হচেছ লক্ষাধিক পশু। আগামীতে শার্শার খামারে উৎপাদিত দুধ ও মাংশ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় রপ্তানির আশা করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল। পশু খাদ্যের দাম হ্রাসে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন খামারীরা।
Leave a Reply