আশাশুনি ব্যুরোঃ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসী ওয়াপদার বেড়ী বাঁধ ভাঙ্গনে আবারও ডুবতে পারে এমন আতঙ্কে দিন যাপন করে চলেছে। বাঁধ নির্মাণের নানা অঙ্গীকারের কথা শুনতে শুনতে দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালে পড়ে আশাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসী।
উপকূলীয় ইউনিয়ন প্রতাপনগরের হরিশখালি গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ১১ শত মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্ত এলাকাবাসী। ঠিকাদারের গাফিলতি আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারনে কাজের অগ্রগতি নেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী। বেড়িবাঁধটির অবস্থা এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে মানুষরা পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারেন না। বেড়িবাঁধের কোন কোন স্থানে এক ফুট, কোন স্থানে দুই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। ২০২০ সালের ২০ মে মহা প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ২১ সালের ২৬ মে ঘুর্নিঝড় ইয়ার্স এর আঘাতের পরে হরিশখালির বেড়ি বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় কয়েকবার ক্লোজার ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আম্ফানের তান্ডবের পর বাঁধ নির্মাণ শুরু হলেও প্রায় দু’বছরে কাজ শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেননা পাউবো তথা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনেকবার এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন এবং আশ্বাসের বাণী শুনেয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
শুক্রবার জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন প্রতাপনগর ইউপি’র নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী। পরিদর্শনকালে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ঠিকাদার এতো দিন ধরে বাঁধটি নির্মাণে ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। অবহেলা আর গাফিলতি সহকারে কাজ না করে তিনি যদি বাঁধ ছেড়ে চলে যান তাহলে আমরা এলাকাবাসী বাঁধ নির্মাণ করবো বলে তিনি ঘোষণা করেন। এসময় প্রভাষক মাওঃ নূরুল ইসলাম, হাফেজ বাবুল হোসেন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল গনি, ব্যবসায়ী হাসান উল্লাহ, আ’লীগ নেতা অমিয় কুমার সোম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবী ঠিকাদারের গাফিলতীর কারণে ইউনিয়নবাসীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে না দিয়ে কার্যক্রর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ এলাকাবাসীর উপর ভরসা রেখে কাজের অনুমতি দেওয়া হোক।
Leave a Reply