ক্রীড়া ডেস্ক: সেই ২০২১ সালের এপ্রিল। পাল্লেকেলেতে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন খেলেছিলেন ১৬৩ রানের ইনিংস। টেস্ট ক্যারিয়ারে নাজমুলের সেটি ছিল প্রথম সেঞ্চুরি। সেই নাজমুল আজ পেলেন জোড়া সেঞ্চুরির দেখা, মুমিনুলের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেইদিন পাল্লেকেলেতে মুমিনুলও করেছিলেন ৩০৪ বলে ১২৭ রান। ক্যারিয়ারে সেটি ছিল মুমিনুলের ১১তম সেঞ্চুরি, দেশের বাইরে প্রথম।
এরপর খরা। সেঞ্চুরি দূরের কথা, মুমিনুল হক যেন টেস্টে রান করাই ভুলে গেলেন। অধিনায়কত্বও হারালেন। মাঝে তো দল থেকে বাদও পড়েছিলেন টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। মাঝে ৯ ইনিংস এক অঙ্কে, মানে ১০ রান করার আগেই ফিরেছিলেন মুমিনুল। ‘কী হলো মুমিনুলের’, অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন ছিল তখন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে।
অবশেষে ২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি-খরা কাটালেন মুমিনুল। এর আগে গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরির বেশ কাছে গেলেও ৮৪ রান করেই থামতে হয়েছিল এ বাঁহাতিকে। আফগানিস্তানের এমন অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ, সঙ্গে ব্যাটিংয়ের জন্য খুব কঠিন নয় ধরনের উইকেটে প্রথম ইনিংসে ১৫ রানেই আউট হয়ে মুমিনুল সুযোগ হারিয়েছিলেনই বলতে হবে।
এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও যে খুব স্বচ্ছন্দ্যে ছিলেন, বলা যাবে না। তবে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন। সেঞ্চুরিতে যেতে তার লাগল ১২৩ বল। এখন পর্যন্ত মেরেছেন ১২টি চার। বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারে করেছেন অনেক রান।
টেস্টে আজ মাত্র তৃতীয় দিন, ইনিংস ঘোষণার চেয়ে ব্যাটসম্যানদের সুযোগ করে দেওয়াই লক্ষ্য। ফলে সেদিক থেকেও মুমিনুলের ওপর কোনো চাপ ছিল না। মুমিনুল সে সুযোগ কাজে লাগালেন দারুণভাবে। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে মুমিনুলের সঙ্গে ঠিক ‘মধুর সম্পর্ক’ ছিল না চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। সেই হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদে এবার আরেকটি সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ৩১ বছর বয়সী কক্সবাজারের ব্যাটসম্যান। হয়ত ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে তৃষিত সেঞ্চুরি তার এটিই।বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২০ রান। টাইগারদের লিড ছাড়িয়েছে সাড়ে ছয়শ।
Leave a Reply