1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
২০২৩ সালে সংকট হওয়ার শঙ্কা, প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

২০২৩ সালে সংকট হওয়ার শঙ্কা, প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১০ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনার ডেস্ক: কোভিড–১৯ পরবর্তী রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধসহ তিন কারণে আগামী বছর সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। এ জন্য ২০২৩ সালকে সম্ভাব্য ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সংকটের বছর) ধরে নিয়ে ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সাথে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ একগুচ্ছ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভা। সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্যাবলি–সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আগামী বছর সংকটের বছর হওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
সচিব জানান, সংকট কাটাতে ছয় পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো– ১. খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, সর্বাবস্থায় খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ, যতই খাদ্যের আমদানির কথা বলা হোক না কেন, সমস্যাটি থাকবেই।
২. বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে, বিদেশে যেন অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়। তাতে উচ্চ বেতনে কাজ করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা অনুসরণ করে যেন এই সুযোগ বাড়ানো হয়। আর দক্ষতার সনদের ক্ষেত্রে যেন যথাযথ প্রতিষ্ঠানের সনদ দেওয়া হয়।
৩. রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উদোগ নিতে হবে, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপত্র দিয়েছে বা না দিলে দেবে যে এখন আর রেমিট্যান্স পাঠাতে আলাদা ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে, সেই ব্যাংকই বিষয়টি দেখবে। আরও কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪. বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, ৫. খাদ্য মজুত ঠিক রাখতে হবে এবং ৬. খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে সস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো বলছে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুব একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে; করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে; চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এই তিনটি বিষয় বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটিকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে পর্যবেক্ষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে সে অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরও জানান, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে বিদেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, যাতে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার যেহেতু সংকট হচ্ছে, ফেডারেল রিজার্ভের হার (নীতি সুদ হার) বেড়ে যাওয়ার ফলে যেসব দেশ ঋণ নিয়ে কাজ করে বা যাদের আমদানি বেশি, তাদের দুই দিক থেকেই অসুবিধা হচ্ছে।
এর মধ্যে একটি হলো যখন টাকা দেওয়া হচ্ছে, তখন বেশি দিতে হচ্ছে, আবার যখন নেওয়া হচ্ছে, তখন কম পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য সবাইকে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে এবং এর সম্ভাবনাও আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চতুর্থত, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের যেসব শর্ত আছে, সেগুলোকে আরেকটু নমনীয় করা যায় কি না, সেটি দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কয়েকবার বসা হয়েছে এবং কাজ চলছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেই (বিডা) কয়েকটি শাখা থাকবে। যেমন লাইসেন্সের জন্য যেন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে যেতে না হয়।
এ ছাড়া খাদ্য মজুতের বিষয়টি সব সময় ভালো অবস্থায় রাখার বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে খাদ্যের মজুত পরিস্থিতি খুবই ভালো অবস্থায় আছে। বেসরকারি খাতকে অনেক পরিমাণ খাদ্য আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পরিমাণটি প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে উৎস করাজাতীয় কিছু করের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার বিষয়েও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনবিআর আলাপ-আলোচনা করে অবিলম্বে যেন সন্তোষজনক বিধান চালু করে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd