1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু📰বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করে আসছে- সাবেক ছাত্রনেতা রফিক

সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪
  • ৪৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে এরই মধ্যে ১৬ লাখের অধিক মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন।
যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা।বুধবার (১৯ জুন) বিকেল পর্যন্ত সিলেট নগরসহ জেলার ১৩ উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখে পৌঁছেছে। আগের দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে এই সংখ্যা ছিল পৌনে ৪ লাখে। এর কয়েক ঘণ্টার পর রাতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা পৌনে সাত লাখে পৌঁছায়। আর ২৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যা আক্রান্ত ৮ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
আর সুনামগঞ্জে উপদ্রুত এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২৯ মে অকাল বন্যায় সিলেটে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবার অবিরাম হালকা ও ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয়া থেকে নেমে আসা ঢলে আবারও ফের বন্যাকবলিত হয়ে সিলেট নগরসহ ১৩ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪১ লাখ ১১হাজার ৮৩৫ জনের জনসংখ্যার ৮ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ড। পাঁচটি পৌরসভা ও ১৩টি উপজেলার ১৫৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১২৯টির এক হাজার ৫৪৮টি গ্রাম। আশ্রয়কেন্দ্র ৬১৯টি থেকে বাড়ানো হয়েছে ৬৫৬টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯৪৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯২৪ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, জেলা প্রশাসনে একটি এবং প্রতিটি উপজেলা একটি করে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপদ্রুত এলাকা খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ও উদ্ধার কাজে ভলেন্টিয়ার টিম কাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে আগামী তিনদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই কারণে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শেখ রাসেল হাসান। এদিকে সিলেটের তিনটি নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপরে, সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে, অমলসীদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১শ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে ২১ সেন্টিমিটার ওপরে, সারি নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহমান ছিল।
বিশেষ করে সিলেট নগর এলাকা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পৃথকভাবে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। নগরের তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানি ওঠার আগেই সংশ্লিষ্টরা জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
তবে বন্যা আক্রান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে, উপজেলাগুলোর গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষি জমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
সুরমার পানি নগর সংলগ্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সিলেট নগরের উপশহর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, লামাপাড়া, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, কেওয়াপাড়া, তালতলা, জামতলা, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মাছিমপুর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রাসহ অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় বাসা ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ৬৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় চার লাখের অধিক মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় পাঁচ হাজার জন, বিশ্বম্ভরপুরে ২২ হাজার, শান্তিগঞ্জে ১৫ হাজার, তাহিরপুরে ১ লাখ ৪০ হাজার, জামালগঞ্জে ১২ হাজার ৬৭০, জগন্নাথপুরে ৩৭ হাজার ৩১০, দিরাইয়ে ৭৮ হাজার ২৫০, শাল্লায় ১১৭, ছাতকে ২ লাখ ও দোয়ারা বাজার উপজেলায় ৫০ হাজার লোক বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৫৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলাজুড়ে ৪৭৪টি গ্রাম প্লাবিত, আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ। তবে রাতে এই সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন এক হাজার ৫১৩টি পরিবার। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৭০টি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd