তুহিন হোসেন:
দেশজুড়ে জেঁকে বসে শীত, কমছে তাপমাত্রা। কোথাও কোথাও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন শীতের কাপড়। বাজারে তাই এখন শীতের পোশাক কিনতে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কাপড়ের বাজারে বিরাজ করছে দামের ‘গরম’। ক্রেতাদের অভিযোগ এবার শীত পোশাকের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাই দামে একটু বেশি মনে হচ্ছে ক্রেতাদের। সাতক্ষীরার নিউমার্কেট ও ফুট অফিস এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সাতক্ষীরার নিউমার্কেট এলাকায় সব মানুষের ভিড় যেন এসে মিশেছে শীতের কাপড়ের দোকানে। নিউমার্কেট, ফুটঅফিস ও সুলতানপুর বড় বাজার এলাকার দোকান গুলোতেই শীতের কাপড়ের জন্য ঝুঁকছে সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগই পরিবার নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন, সঙ্গে আছে শিশুও।
শীতের কাপড়ের মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, লং কোর্ট, মাফলার, হাত মোজা ও পা মোজা বিক্রি করেন তারা। ক্রেতাদেরও চাহিদা রয়েছে এসবে। দাম, মান আর দোকানভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। ফুটপাতে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের গরম পোশাক। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, ওভারকোট, কার্ডিগান, বেøজার, ছোটদের গরম কাপড়ের সেট, টুপিসহ আরও অনেক ধরনের পোশাক।
সাতক্ষীরার নিউমার্কেট এলাকা থেকে সুলতানপুর বড় বাজার দিকে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায়, শীতের পোশাক কেনার ধুম। পোশাকের মধ্যে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেট, সোয়েটার, হাত মোজা ও কানটুপি। তবে ক্রেতারা বলছে দাম তুলনামূলক বেশি।
আমিনিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাতে দোকান। ক্রেতা হাসান বলেন আমি গত বছর ৬০০ টাকা দিয়ে একই ধরনের সোয়েটার কিনেছিলাম। ক্রেতারা আরোও বলেন, ‘কয়েকটি দোকানে শীতের কাপড়ের দাম অনেক বেশি দেখে ফুটপাতে আসলাম। এখানেও দেখি দাম মাত্রাতিরিক্ত। বাচ্চাদের সোয়েটার ৫০০ টাকার নিচে নেই। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারেই কেনাকাটায় দাম বেশি পড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও পোশাকের দাম বেশি। ‘যেখান থেকে মাল আসে, সেখানেই দাম বেশি। আমরা তো অল্প লাভে বিক্রি করি। তবে বিক্রির পরিমাণ ভালো।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী , সাতানি, ঘোনাসহ অন্যান্য এলাকা থেকে কাপড় কিনতে আসা পুরুষ- মহিলা জানান, শীতের পোশাকের দাম আসলেই একটু বেশি মনে হচ্ছে। তারপরও প্রয়োজনের খাতিরে কিনতে হচ্ছে। দামদর করে যতটুকু কমানো যায় আর কি।’
Leave a Reply