জিয়াউর রহমানঃ সাতক্ষীরা সদরের ১৪ নং ফিংড়ী ইউনিয়নের সবকয়টি ওয়ার্ডে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। বারংবার চুরি সংঘটিত হওয়ায় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। ফিংড়ী ইউনিয়নে এর আগে এতো পরিমানে চুরি সংঘটিত হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় -গত কয়েকদিন পূর্বে ফিংড়ী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামসুর রহমানের বাড়ির সামনে চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদ থেকে টিউবওয়েল চুরি হয়ে যায়। বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমানের বাড়ির পাশের আল মদিনা জামে মসজিদ থেকে টিউবওয়েল চুরি হয়ে যায়। বালিথা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টিউবওয়েল চুরি হয়ে যায়। গাভা গ্রামের ডাঃ সিদ্ধার্থ সানার সিঁড়ি ঘরের গ্রীল কেটে দুর্র্ধষ চুরি সংঘটিত হয়। গাভা গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে টিউবওয়েল ও জানালার গ্রীল চুরি হয়ে যায়। ফিংড়ীর শেখ আব্দুর রহিমের নতুন কাটানো তক্তা ও মূল্যবান কাঠ চুরি হয়ে যায়। দক্ষিন ফিংড়ীর মোঃ নেছার আলী গাজীর বাড়ি থেকে তিনটি রাজহাঁস চুরি হয়ে যায়। উত্তর ফিংড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার থেকে এক শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরি হয়ে যায়। তরিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুইটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। জেলার বাইরে থেকে আসা মাটি কাটা এস্কেবেটর গাড়ির তৈল চুরি হয়ে যায়।বারংবার চুরির ঘটনা ঘটছে এব্যপারে ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি’র নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান – আমাদের ইউনিয়নের মানুষ শান্ত স্বভাবের, নম্র ভদ্র প্রকৃতির এবং শিক্ষিত। কিন্তু ইদানিং শুনছি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় চুরি হচ্ছে। আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদেও চুরি হচ্ছে। উঠতি বয়সী ছেলে অর্থাৎ কিশোর গ্যাং ও মাদক সেবীরা এই চুরির সাথে জড়িত বলে আমি মনে করি। ফিংড়ী ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত কিশোর গ্যাংদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় দিনদিন মাদক সেবীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এদেরকে দ্রæত থামানো না গেলে গোটা সমাজ টাকে তারা কলুষিত করে ফেলবে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে চুরি করছে। এদেরকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।
Leave a Reply