বিশেষ সম্পাদকীয়
মহান বিজয় দিবসে শহীদদের স্মরণ করছি শ্রদ্ধায়,ভালবাসায়,পরম মমতায়
মোঃ তুহিন হোসেন:
আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভকারী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে শাসকগোষ্ঠী। ফলে ক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহাকে প্রবল করে তোলে। পরম মমতায় স্বরণ করছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের,পরম মমতায় স্বরন করছে সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের। এই জাতি বীরের জাতি, পরাজয় মানে না আর তাই লাখ লাখ বাঙালী,লাখ লাখ মুক্তি পাগল মুক্তি সেনার দল জীবন দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামে অভ্যুদয় ঘটিয়েছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এমন এক বাংলাদেশ। যে দেশে থাকবে না ক্ষুধা, দারিদ্র,সাম্প্রদায়িকতা,অত্যাচার,অনাচার,অনিয়ম ও দুর্নীতি। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, মানবতার মা সফল প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এগিয়ে চলেছে সেই প্রত্যয়ে। দেশ আজ উন্নয়ন আর অগ্রগতির মহাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উন্নত আর আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে অনন্য স্থান করে নিয়েছে। ১৯৭১ হতে ২০২২, এই ৫১ বছরের দীর্ঘকাল পরিক্রমায় বারবার বিজয় দিবস এসেছে মহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে। জাতি মহান ১৬ ডিসেম্বরকে গভীর ভাবে স্বরণ করে থাকে। এক কথায়, একবাক্যে স্বীকার করতেই হবে মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করি,আমরা জয়ী হই তার অন্যতম কারণ জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব। পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে শুধু বীর বাঙ্গালীকে নির্বিচারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমাদেরকে মেধা শুন্য করতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালীর স্বাধীনতার একেবারে দারপ্রান্তে এসে বুদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করে। জাতির জীবনে আবার ও আগত সেই মহেন্দ্রক্ষণ ১৬ ডিসেম্বর, আজ আমাদের মহান দিন কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বিশ্বময় মহামারী করোনা ভাইরাস হানা দিয়ে সারা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে আর বাংলাদেশও তার ব্যাতিক্রম নয়। সরকার করোনার হাত থেকে পরিত্রানের জন্য করোনা প্রতিরোধে সকল ধরনের কাজ করছে। সাতক্ষীরার পুলিশ প্রশাসন সহ দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তা করোনা প্রতিরোধে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে। আজ এই মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
Leave a Reply