শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সদর ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম-আহবায়ক বাবলু গাজী বাদি হয়ে সাতক্ষীরার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। গত ১০ নভেম্বর মামলা দায়েরের পর তদন্তের জন্য আদালত শ্যামনগর থানার ওসিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলায় সাবেক এমপি উপজেলা আ.লীগ সভাপতি এসএম জগলুল হায়দার ও তার ভাই সদর ইউপির চেয়ারম্যান এসএম জহুরুল হায়দারসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে আলোচিত এ মামলায় আ.লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি যুবদল নেতা মারুফুজ্জামান মিলনকে আসামী করা হয়েছে। উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলনের দাবি বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে তাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বর্ণনায় উল্লেখ করা হয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এসএম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে আসামীরা বিএনপি কার্যালয় খোলার বিনিময়ে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে রাতের ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর আসামীরা পুনরায় সমপরিমান টাকা দাবির পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন অফিস খোলার নির্দেশ দেয়। তবে নির্দেশনা অমান্য করায় ২০১৯ সালের দুই জানুয়ারী তারা সংঘবদ্ধভাবে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকায় দু’ভাগে বিভক্ত আ.লীগের একটি অংশের নেতাকর্মীদের মামলায় আসামী করা হয়নি। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আনুকুল্যের কারনে এ মামলা থেকে তারা রক্ষা পেয়েছেন বলেও অভিযোগ
একই সংগঠনের নেতাকে আসামী করার বিষয়ে বাদি বাবলু গাজী জানান তার বিরুদ্ধে বিগত দিনে আ.লীগের সাথে সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে। তবে উক্ত নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এসব বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান কবীর বলেন বিএনপির বিপদগামী কিছু নেতাকর্মী অতি উৎসাহী হয়ে নানান ভুল করছেন। স্থানীয় বিএনপির একটি অংশের প্রশ্রয়ে তারা এসব করার সুযোগ পাচ্ছে। বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply