1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি হওয়ায়, কয়রায় ঈদ কেনাকাটায় ভাটা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি হওয়ায়, কয়রায় ঈদ কেনাকাটায় ভাটা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:  ঈদুল ফিতরের এখনও বাকি প্রায় ১০ দিন। ইতোমধ্যে থ্রি-পিছ, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, পায়জামা, ফতুয়াসহ ছেলেমেয়েদের তৈরি পোশাকের ঈদের কেনা-বেচা শুরু হয়েছে পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় বিক্রি তেমন আশানুরুপ নয় বলে দাবি বিক্রেতাদের। বড় বড় দোকানদারদের কিছুটা ভাল হলেও ছোট ছোট দোকানদারদের বিক্রি গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। মঙ্গলবার উপজেলা বিমিল্লাহ মার্কেট, সকিনা সুপার মার্কেট ও মোমিন মার্কেট সহ সদরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, পোশাকের পাইকারি বাজার গুলোতে রমজানের ১৫ থেকে ১৭ দিন আগে থেকে মার্কেট ধরতে হয়। এর মধ্যে সিংহভাগ বিক্রি হয় প্রথম ৩০ দিন। তাই এসময় পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে দোকান সাজাতে থাকেন। কারণ প্রথম রোজা থেকেই খুচরা বাজারে সাধারণত ক্রেতারা ঈদের নতুন কালেকশান খুজতে থাকেন। তারা বলছেন গত বছর করোনার কিছুটা প্রভাব ছিল যা এবার একেবারেই নেই। তাই আশা ছিল এবার বিক্রি অনেক ভাল হবে। সেজন্য আগে ভাগেই তারা ঢাকা গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, সদরঘাট, ইসলামপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদি থেকে সকল মালামাল কিনেই দোকান সাজিয়েছেন। কিন্তু নিত্যপণ্যেও দাম বৃদ্ধির কারনে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারনে ফ্যাশন হাউজগুলোর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। যা পণ্যের দামের উপর পড়েছে। পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে এগুচ্ছেন। কয়রা বাজার থেকে বিক্রয়তা বলেন, শবে বরাতের পর ঢাকা থেকে পোশাক কিনে এনে দোকানে সাজিয়ে রেখেছি ঈদের আর মাত্র ১০, ১১ দিন বাকী রোজার প্রথম থেকে এখনও চোখে পড়ার মত ভিড় নেই দোকানে। ক্রেতারা আসছে পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় আবার ফিরে যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্রেতারা। গত বছর যে ছিটের গজের দাম ছিল ৪৫ টাকা এবছর সেই ছিট গজ দাম বেড়ে ৬৫ টাকা। শাড়ীর দাম দেড়গুন বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে, এমনকি কেনা দামেও নিতে চাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর করোনা থাকা সত্বেও প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা কেনাবেচা হয়েছে সেখানে এবার ১ লক্ষ টাকা কেনাবেচা করা কষ্টকর। এবার প্রায় ১ কোটির টাকার উপরে মালামাল কিনেছি এরকম বেচাকেনা হলে সামনে কুরবানির ঈদে আর ঢাকা থেকে মাল কিনে আনা লাগবেনা। কয়রা বাজারের বড় ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব পোশাকের দাম বেশি, আমাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এই বেশি দাম শুনলে ক্রেতারা জামা কাপড় কিনতে চাচ্ছে না। মায়ের আচল বস্ত্রালয়ের সত্ত¡াধিকারী সাহেব আলী বলেন, এবছর করোনা নেই বলে মনে করেছিলাম এবার ঈদে বেচাকোনা একটু বেশি হবে তাই রমজানের আগেই ঢাকা বড় বড় মার্কেট থেকে বিশেষ করে থ্রি-পিচ, আনারকলি, শাহারা, গারারা, গাউন, ওয়ানপিচ সহ বিভিন্ন ধরনের ১৫ লক্ষ টাকার থ্রি-পিছ, ৬ লক্ষ টাকার শাড়ী এবং ১০ লক্ষ টাকার গার্মেন্টস সামগ্রী কিনেছি। বেচাকেনা খুব ভাল না তবে এখনও ১২ থেকে ১৩ দিন ঈদের বাকি আছে আশা করছি বাকি দিনগুলোতে ভাল কেনাবেচা হবে ইনশাআল্লাহ। ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের কালেকশান রেখেছি। তবে দাম নিয়ে আপত্তির শেষ নেই ক্রেতাদের। বিশেষ করে নিম্ম ও মধ্য আয়ের মানুষেরা ঈদ বাজারে এসে দরকষাকষিতে হাঁফিয়ে উঠেছেন। বিক্রেতারা বলেছেন, পণ্যের গুনগতমান ও ডিজাইনের উপর দাম নির্ভর করছে। কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিবছর ঈদের কয়েকদিন আগে দোকানে অনেক ভিড় থাকে। এবার আগেভাগে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা জানান, সব পোশাকের দাম অনেকটা বেশি। ক্রেতা শামিম হোসেন জানান, ঈদ মানেই আনন্দ মানেই খুশি , ঈদে চাই নতুন জামা কাপড়। দাম একটু বেশি। তবে ভাল মানের নতুন ডিজাইনের পোশাক দেখে পছন্দ হয়েছে দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবেই। তাছাড়া পোতার আবদার রাখতে তো হবেই। আর এক ক্রেতা আনোয়ার বলেন তার দুই ছেলের জন্য প্যান্ট ও শার্ট কিনছি। এ সময় তার সাথে কথা হয়। তারপরও যা কামাই তা দিয়া কোনো রকমে সংসার চলে। ঈদে ছাবাল দুইটার কাপড় কিনি দেব। দামের কারনে মনে হয় আজ কেনা হবার নায়। গতবার ১ হাজার ২০০ টাকাতে দুজনের কাপড় কিনচি। এবার তো দুই হাজার টাকাতে কেনা যাচ্ছে না।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd