মো. মিজানুর রহমান, তালা (সাতক্ষীরা): তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারীসহ ৬ নেতা-কর্মী আটক হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সাতক্ষীরা জেল হাযতে প্রেরন করা হয়েছে।
তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, উপজেলা ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উথালী গ্রামের মৃত ফটিক সরদার’র ছেলে আমজাদ সরদার’র বাড়িতে জনমনে ভীতি তৈরী ও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার জন্য গোপন বৈঠক করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর কাটাখালি গ্রামের মৃত শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে মাওলানা মফিজুল ইসলাম (৫৫), জামায়াতের সেক্রেটারী নোয়াকাটি গ্রামের মো. মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে অধ্যাপক ইদ্রীস আলী মোড়ল (৫০), জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাড. শেখ আনসার আলী’র তৎকালিন একান্ত সহকারী সুজানসাহা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শেখ নুরুল ইসলাম (৭০), বারাত গ্রামের মো. আফাজ উদ্দীন শেখের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৫১), উথালী গ্রামের মৃত আকছেদ আলী সরদারের ছেলে মো. আজাহারুল ইসলাম (৬৫) এবং মো. আমজাদ সরদারের স্ত্রী মোছা. রেবেকা বেগম (৫৪)কে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে ঘটনাস্থল থেকে জিহাদী বই, চাঁদা আদায়ের রশিদ ও আনুষঙ্গিক আলামত উদ্ধার করা হয়। উক্ত গোপন বৈঠকে অর্ধশতাধীক জামায়াত ও শিবিরের নেতা কর্মী অংশগ্রহন করে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে যার অধিকাংশ পালিয়ে যায়।
এঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে তালা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ডি ধারায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা (১২/২২) দায়ের করেছে। ধৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেল হাযতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপতার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে- ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানিয়েছেন। তবে, জামায়াতের একটি দাযিত্বশীল সূত্র উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারী সহ ৬জনের গ্রেফতার বিষয়টি স্বীকার করলেও নাশকতার পরিকল্পনা ও গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন।
Leave a Reply