ডালিম রেজা কেশবপুর:
হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামালের মুল্য উর্দ্ধগতির ফলে সবজির বাজারে অস্তিরতা বিরাজ করে আসছিলো। যার ফরে যশোরের কেশবপুরে নিন্ম আয়ের মানুষ হয়ে পড়েন দিশেহারা। কিস্তু সেই অবস্থা থেকে সম্প্রতি কাচা বাজারের সবজি পণ্যের দামে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে অস্বস্তি বিরাজ করছে পেয়াজ রসুন ও মশলার বাজারে। যদিও অতিবর্ষণের কারনে যে কোন আবারো সবজির বাজার উর্দ্ধমুখি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।পেয়াজ রসুন আদা ও মশলার বাজারে গুনতে হচ্ছে পকেটের অর্ধেক টাকা। উপজেলা সদরসহ কেশবপুরের বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেলো মশলার বাজারে আগুন, ১০০ গ্রাম জিরা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও রসুন প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
তবে সবজিতে মিলেছে স্বস্তি, ক্রেতারা এখন তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারছে পছন্দসই সবজি গুলো। ক’দিন আগেও ১ কেজি বেগুন কিনতে হয়েছে ৮০থেকে ১০০ টাকায়, আর ১ সপ্তাহের ব্যবধানে সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকায়। একই ভাবে ৭০ টাকার পটোল ১৫ টাকায়, ১২০ টাকার করলা ৬০ টাকায়, ৩৫ টাকার ঝিঙ্গা ২০ টাকায়, ৩৫ টাকার কাচকলা ২৫ টাকায়, ৩০ টাকার বরবটি ১৫ টাকায়, ৪০ টাকার লতি ৩০ টাকায়, ২৫ টাকার পেপে ২০ টাকায়, ৪০ টাকার প্রতি পিচ লাউ ৩০ টাকায়, ৪০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায়, ৩৫ টাকার প্যাচেঙ্গা ২৫ টাকায়, ৪০ টাকার ঢেড়স (ভেনডি) ২০ টাকায়, ২৫ টাকার মিষ্টি পোল্লা ১০ টাকায়, ৪০০ টাকার কাচা মরিচ ১৮০ টাকায়, ৪০ টাকার মানকচু ৩০ টাকায়, ১০ টাকার লাল শাক ৫ টাকায়, ১০০ টাকার নজিনা ৮০ টাকায়, ৩৫ টাকার সাদা মুলা ২৪ টাকায়, ১৬০ টাকার টমেটা ১২০টাকায়, ৯০ টাকার কচুরমুখি ৬০ টাকায়, ২০ টাকার প্রতি আটি ডাঠা ১০ টাকায়, ২০ টাকার পুইশাক ১০ টাকায়, ৩০ টাকার আমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা আসাদুজ্জামান নামে এক জন ক্রেতা দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, হঠাৎ করে কাচা বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিলো, সেখান থেকে আবার সহনীয় পর্যায় চলে আসায় আমরা একটু স্বস্তি পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, কাচা মালের পাশা-পাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য সহনীয় রাখতে সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিং করা জরুরী। তাই তিনি বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য সমুহ খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জোর দাবি জানান।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, কৃষকদের প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদে আগ্রহী হতে হবে তাহলে কৃষিতে ফলন বৃদ্ধি পাবে। আর ভালো ফলন হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজার দর কমবে। তাই অধিক ফলনশীল চাষাবাদে আগ্রহী আমরা উপজেলার প্রান্তিক চাষীদেরকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
Leave a Reply