সীমান্ত(কলারোয়া) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হঠাৎগঞ্জ টু গাড়াখালি খেয়াঘাট রাস্তার সড়ক সংস্কার ও পূর্ণ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে চরম গাফিলতির অভিযোগও। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলে যাতায়াতে অন্যতম প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক এটি। প্রতিনিয়ত কলারোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা ও পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের যাতায়াত করে এই রাস্তায়। কিন্ত প্রায় মাসখানেক যাবত এর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও অতি ধীরগতির কারনে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। নির্মাণাধীন ঐ সড়কে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করতে পুরনো কালভার্ট অপসারণ ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে রাস্তা কেটে ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রায় মাসব্যাপি এই সড়ক অবরোধ রাখা হয়েছে। ওই সড়ক নির্মাণ কাজের প্রকল্প পত্র বলছে ….. ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের অধীন নির্মাণাধীন সড়কটির নির্মাণ কাজ ১লা ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ অর্থাৎ ৭৫ দিনে শেষ করা কথা। কিন্ত বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ মাস পরে রাস্তার কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এহসান বাহার বুলবুল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার এহসান বাহার বুলবুল বলেন, আমাদের তো মালামালের প্রবেøম, জলাবদ্ধতার কারনে ব্রিকস একটু লেটে পাইছি আমরা, যার কারনে ১০ – ১৫ দিনে আমরা কাজ শেষ করে দেবো। কালভার্টের কাজ শেষ হয়ে গেছে। ২- ৩ জন শ্রমিক দিয়ে ধীরগতিতে কাজ করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ কাজে অল্প শ্রমিকই লাগে। আমি ইচ্ছা করলে কালভার্ট, রাস্তার বালি মিক্সিং করা এগুলো সম্ভব না। ম্যাকাডাম ও দুইপাশের হেরিংবোন থাকার কারনে কাজটি একটু ক্রিটিকাল আছে। এর মধ্যে আমি কিছুদিন চেন্নাই থাকার কারনে একটু দেরি হওয়া স্বাভাবিক।
কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক জানান, কাজের মেয়াদ শেষ হলে জেলা কতৃপক্ষ ঠিকাদারের প্লানটি করবে অথবা টাইম এক্সটেনশন করবে। কালভার্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালভার্ট নির্মাণের পর ২৮ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে ভারী যান চলাচল করলে কালভার্ট টিকবে না।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, মেনটেন্যান্স কাজ তো, ওতো শেষ হয়ে যাবে। জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। দুই তিন মাসের মেনটেন্যান্স কাজতো সময় লাগে। এ ব্যপারে কোনো বক্তব্য নেই, আপনি অফিসে আইসেন বক্তব্য দিবো। জুনের ভিতরে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ দিকে এমন ব্যস্ততম সড়ক নির্মাণের সময় সীমা শেষ হলেও কাজে নয়ছয়, কাজে ধীরগতির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সীমান্তের জনজীবন।
Leave a Reply