আব্দুল আহাদ কলারোয়া: “সতত হে নদ তুমি, পড় মোর মনে। সততা তোমারই কথা ভাবি এ বিরলে—
মহা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত এই কপোতাক্ষ নদ। কবি শৈশবে এ নদে স্নান করতেন। এ নদের তীরে খেলা ধুলা করে কবির সময় কেটেছে। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগর দাঁড়ি গ্রাম এ নদের সাক্ষী হয়ে আছে । এ জন্য ফ্রান্সের ভার্সাইনগরে থেকেও এক মুহুর্তের জন্যে কবি তার শৈশবের এ নদকে ভুলে যাননি। ২০০০ সালের বন্যায় ভারত থেকে উপচে আসা পানিতে এ নদ তার নাব্যতা হারায়। ফলে জোয়ার ভাটা বন্ধ হয়ে যায় অনেক বছর। এক কালের খরস্রোতা এ নদ তার যৌবনকে হারিয়ে ফেলায় এ দেশের অনেক বণিক সম্প্রদায় ব্যবসায়িক ভাবে চরম বিফল হয়। বিনোদনের কেন্দ্রে বিন্দু, ভ্রমনের স্থান সাগর দাঁড়ি অনেক টা পর্যটক শুন্য পল্লীতে রুপান্তরিত হয়।কথিত আছে — কপোতের ন্যায় অক্ষ ( কবুতরের চোখ) এ নদীর। অথচ সেই নদী শুকিয়ে অনেক টা গোচারণ ভূমিতে পরিনত হয়। মানুষ ও গবাদি পশু হেটে এ নদ পার হয়েছে।২০১৬/১৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ড্রেজিং এর কাজ শুরু হয়।ড্রেজিং পূর্ববর্তী সাতক্ষীরা সদরের পাটকেল ঘাটা পর্যন্ত জোয়ারের পানি আসতো।ড্রেজিং পরবর্তী বর্তমানে এ নদের জোয়ার ভাটা মোটামুটি শুরু হয়েছে। কবির ভাষায়
” যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে, সহস্র শৈবাল দাম বাধে আসি তারে।” থেমে থাকা এ নদ আজ দীর্ঘ বছর পরে অনেক অনেক স্রোতমান।আর তারই পুর্বরুপ আজকের প্রজন্ম উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে। অর্থাৎ এ নদ তার হারানো যৌবন ফিরে পেতে চলেছে। ড্রেজিং এর কাজ ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকলে এ নদ তার পুর্ণ যৌবন ফিরে পাবে বলে দুতীরের মানুষের একান্ত বিশ্বাস।
Leave a Reply