স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় চাচা আজহারুল ইসলাম(৩২) কর্তৃক ভাইজি নাবালিকা বুধহাটা ভূবন মোহন কলেজিয়েট স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছে আজহারুল ইসলাম এর পরিবার। সাতক্ষীরার বুধহাটা অঞ্চলের হাবাসপুর গ্রামের রাইসমিল সংলগ্ন সরদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা অণ্চলের হাবাসপুর গ্রামের জামাল উদ্দীন সরদারের ছেলে লম্পট আজহারুল (৩২) (জামায়াত ক্যাডার) তার নিজের ভাইজি ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া নিজ ভাইজিকে গভীর রাতে তার শয়ন কক্ষে ঠুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী নাবালিকা ছাত্রী বলেন,আমি রাতে অংক লেখা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। গভীর রাতে আমার শরীরে অসাভাবিক স্পর্শ পেয়ে আমি জেগে যায়, উঠেই দেখি আমার পাশে কে যেন বসে আছেন। আমি ভয়ে খাট থেকে চেঁচামেচি করে মেঝেতে লাফিয়ে পড়ি। ঘরের আলো দিয়ে দেখি আমার চাচা আজহারুল। তখন ভয়ে আমি চিৎকার করতে থাকলে আমার দাদি সহ আশপাশের লোকজন আসার আগেই জানালা দিয়ে চাচা আজহারুল পালিয়ে যায়। লোকজন এসে চাচার পায়ে দেওয়া জুতা দেখে নিশ্চিত হয়। এই প্রতিবেদকে আর কিছু বলতে না চেয়ে কাঁদ কাঁদ অবস্হায় থাকে মেয়েটি।
তার পাশে থাকা তার ভাই অভিমান করে বলেন, আজহারুলের অনেক টাকা সবাইকে সে ম্যানেজ করেছে, আমাদের এখানের সাংবাদিকরা তো ম্যানেজ হয়ে গেছে, আপনারা কি করবেন, এখানে আমাদের কেউ নেই আমার বোনকে আর এখানে রাখবো না।বাবা মায়ের সাথে চলে যাব। মেয়েটির দাদি বলেন, আজহারুল ওর চাচা হয় আমি কখনো সন্দেহ করিনি ও আমাদের সমাজে হেয় করে দিলো।নাম না বলার শর্তে অনেকে বলেন, আজহারুল জামাতের ক্যাডার বলে পরিচিত, ভালো ছেলে, বুশরা কোং কাজ করত এখন আর করে না,এখনো পর্যন্ত বিয়ে করিনি, সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া মেয়েটি সদ্য সবালিকা হওয়ায় লম্পট আজারুলের কুনজর মেয়েটির উপরে ছিলো, না হলে এমন হয়। ও লালসার হাত থেকে আল্লাহ মেয়েটিকে রক্ষা করেছেন।ঐদিন গভীর রাতে লোকজন জানাজানি হলে স্থানীয় বুধহাটা তদন্ত কেন্দ্রে ফোন করে পরিবারের লোকজন। পুলিশ রাতে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং মেয়েটার কাছে ঘটনা শুনে অভিযোগ দিতে বলে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ধাঁমাচাপা দেওয়ার জন্য আজহারুলের পরিবার মীমাংসার জন্য মেয়েটির পরিবারের সাথে একসাথে বসে।
মীমাংসা স্থলে মেয়েটির মা বাবা ও মেয়েটির পা ধরে মাপ চেয়ে মীমাংসা করে নেওয়া হয় বলে জানা যায়।
তবে এই মীমাংসার ভিতরে দুরবিসন্ধি বিষয় আছে বলে মেয়েটির বাবার কথাবার্তায় ফুটে ওঠে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আজহারুলের পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও তাদের পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে তবে মিটে গেছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত আজারুলকে বাড়িতে না পেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি একবার রিসিভ হলেও পরে আর রিসিভ হয়নি।
এবিষয়ে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শিহাবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ঐ রাতে ভিকটিমের বাড়িতে উপস্থিত হই, মেয়ের কাছে ঘটনা শুনে অভিযোগ করতে বলি। কিন্তু এখনো পযর্ন্ত কোন অভিযোগ পায়নি।
Leave a Reply