মোঃ ফরিদ উদ্দিন শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা এলাকা বাসীর হাজার হাজার একর জমির ধান প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গ্যারেজ বাজার সংলগ্ন শ্যামনগর টু মুন্সিগঞ্জ রাস্তার উপর নির্মিত কালভার্টির মুখে মাটি ভরাট করে খাসজমির উপর ইউসুফ গাজী বাড়ি তৈরি করার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বৃষ্টি শুরু হলে হাজার হাজার মানুষের ফসলের জমির বিজতলা পানির নিচে তলিয়ে যায়। কৃষিকের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। বারবার বীজকিনতে হয় কৃষক কে শ্রমিক খরচ বেড়ে যায়। তাছাড়া ধান রোপনের পর প্রতিবছর বৃষ্টি হলেই রোপন ধান পানির নিচেই তলিয়ে যায় তৈরি হয় জলবদ্ধতা অনেকের ভিটা বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে পুকুরের মাছ গাছ গাছালি ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয় ।এই একমাত্র পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাটি বন্ধ রাখার ফলে এলাকার কৃষক দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ওই এলাকার কৃষক পতিরাম মন্ডল বলেন আমার দুই বিঘা জমি আছে এই জমি আমি নিজে চাষ করি কিন্তু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানির চাপে ধান ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় আমরা কৃষকরা ইউপি সদস্য কে জানালে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু অসীম কুমার মৃধা ঘোষনা দেন তিনি নির্বাচিত হলে হাজার হাজার মানুষের কথা চিন্তা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবেন। এখন তিনি নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে হাজারো কৃষক। জরুরী ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা চালু না করলে এবারও কৃষক বিপাকে পড়ে যাবেন নষ্ট হবে তাদের উৎপাদিত ফসল। এলাকার কৃষকদের দাবি জরুরী ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট টি অবমুক্ত করা হোক।
Leave a Reply