জহর হাসান সাগর: তালায় চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। ধানের বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য। হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলিতে বেড়েছে কৃষকদের উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধানের বীজ কেনার হিড়িক। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বোরো ধানের ২৭টি জাতের মধ্যে কৃষকরা সববীজ গ্রহণ করছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পাটকেলঘাটার ধানদিয়া, নগরঘাটা, কুমিরা, খলিসখালী, শাঁকদহ, মিঠাবাড়ীসহ অধিকাংশ বিলে মাছ চাষ হওয়ায় আমন ধানের পরিবর্তে বোরো ধানই কৃষকদের একমাত্র ভরসা। বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের চালের চাহিদা মেটানো, অপরদিকে মাছ চাষে লোকসান থাকলে বোরো ধান চাষ করে লোকশানটা পুষিয়ে নেয়।
চাষিরা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করবে হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এজন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরি করছেন।
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, চার বিঘা জমিতে বোরো চাষের লক্ষে তিনি আগাম বীজতলা তৈরী করছেন। আগাম বীজতলা তৈরী করে আগাম চারা রোপন করলে আগাম ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে। আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আজিবার রহমান জানান গতবছর ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপন করে ব্লাস্টের আক্রমনে ধানের ক্ষতি হয়, তাই এ বছর ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি ৮৮ ও হাইব্রিড চাষে ঝুকছেন চাষীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম বলেন, এবছর উপজেলার চাষীরা বোরো চাষের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে বীজতলা তৈরীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমারা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হবে।
Leave a Reply