মুজাহিদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা তালার স্কুলশিক্ষক সুভাষ কুমার দাশের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তালা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোমিনুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় হুমকি পেয়েছেন শিক্ষার্থীর বাবা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তালার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া, খালি হাতে মারধর, কুপ্রস্তাবসহ নানাভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এসব ঘটনায় এরআগে তাকে একাধিকবার ঘরোয়াভাবে সতর্কও করা হয়েছে। কিন্তু এরইমধ্যে গত ০৭ মার্চ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্রেণি কক্ষে একা পেয়ে গায়ে হাত দেওয়াসহ কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় বেধড়ক মারধর করেন। পরে শিক্ষার্থী পরিবারকে জানালে তারা প্রথমে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কে অবহিত করে। এতে বিচার না পেয়ে গত ১১ মার্চ তালা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা আকাশ দাশ।
এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা আকাশ দাশ জানান, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের বিচার চেয়ে বিপাকে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে আকাশ দাশ কে তার বাড়িতে এসে অভিযোগ তুলে নিতে শাসিয়ে যায় লম্পট সুভাষ কুমার দাশ ও সূর্য কুমার পাল। শুধু এখানেই শেষ নন, স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা, সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসন ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সূর্য কুমার পাল। অভিভাবকরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যশা করছেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ বলেন, আমি গত ৩৫ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করছি । ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছি তবে তা আমার নিজের মেয়ে মনে করে পিতাসুলভ শাসনের চেষ্টা করেছি মাত্র। কোন কুপ্রস্তাব বা কুনজর কখনো কাউকে দেইনি। আর বাদীকে হুমকি ধামকি দিয়েছি এমন ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্য কুমার পাল বলেন, শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থী নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গে অভিযোগ পাওয়ার পর এটি ওসি সাহেব দেখছেন। সেটা তদন্তাধিন রয়েছে। তিনি ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনা ধরা কে সরা বলে চালানোর বিষয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী সাইফুল ইসলাম শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ সম্পর্কে মুঠোফোনে কিছু বলবোনা বলে বিরক্ত বোধ করে আলাপ কলটি কেটে দেয়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোমিনুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply