স্টাফ েিরপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ফুটবল মাঠে আনান্দ মেলার নামে চলছে অবৈধ লটারী। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরি করে লটারীর টিকেট বিক্রি করছে অর্ধশত ইজিবাইক। আনান্দ মেলা কলারোয়া এসব লটারী কিনে প্রতারিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। সেই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বাড়ছে কলারোয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে। এ ছাড়া মেলার ৮-১০টি স্টলে চলছে অবৈধ লটারি বিক্রি। যার কারণে ইতিমধ্যে সর্বশান্ত হতে শুরু হয়েছেন অনেকে। পারিবারিক অশান্তি দেখা দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে। ২০ টাকা মূল্যের এই লটারীতে দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেল সহ নানা পুরস্কারের প্রলোভন। এসব লটারীর মূল ক্রেতা রিকশা-ভ্যানচালক, চা দোকানদার, মুদি দোকানদার, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা।
পুরস্কারের আশায় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার লটারী টিকিট ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। এ ছাড়া লটারীর ড্র হয় গভীর রাত পর্যন্ত। এতে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে কলারোয়ায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কলারোয়া ফুটবল মাঠে এই মেলা শুরু হয়েছে। লটারীর কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, কলারোয়ায় মাসব্যপী আনান্দ মেলা শুরুর দিন থেকেই অনুমোদনহীন লটারীর ব্যবসা শুরু করে আয়োজক কমিটি। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারী বিক্রি করে নাম মাত্র মূল্যে মোটরসাইকেলের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে । ২০ টাকায় লোভনীয় সুযোগ নেওয়ার জন্য দিনের সব আয় লটারীতে খরচ করার পর রাত শেষে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষরা। সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে অর্ধশত ইজিবাইক লটারীর টিকেট বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারীর খেলা চললেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। সরোজমিনে যেয়ে দেখা য়ায়, আনান্দ মেলার মাঠে দোকান-পাট এখন চালু হয়নি। সার্কাস প্যান্ডেল কাজ চলছে কিন্তুু গরীব মানুষের রক্ত চোষা লটারীর টিকিট বিক্রি করার হিড়িক চলছে। অব্যধ লটারীর টিকিট কিনতে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীরা, ভ্যান চালক,বয়-বৃদ্ধরা ভিড় করছে।
মাসব্যাপী আনন্দ মেলায় এই অব্যধ লটারীর পরিচালক খুলনা সোনাডাঙ্গার স্বপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আনান্দ মেলার এক মাস অনুমোদন নিয়েছি লটারীর কোন অনুমোদন পাইনি মৌখিক বলছে তাই লটারী চালাচ্ছি। লটারীতে আমার অনেক টাকা লোকসান আছে আজকে নিউজটা করবেন না। আপানাদের সাথে কলারোয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করবে আমি সবাইকে ম্যানেজ করে এই আনান্দ মেলা চালাচ্ছি।
এর মধ্যে কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে মেলা বন্ধ হয়েছে। পাটকেলঘাটার শার্শার কুটিঘাটায় একটি বন্ধ থাকার পরে আবারও শুরু করছে কলারোয়াতে। এতে এলাকাবাসী ওই কৃষি মেলা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। আনন্দ মেলা বন্ধ না হলে যে কোন সময় হামলা-সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে আশাংখা করাছে সচেতন সুধি সমাজ। এতে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হবে। সচেতন সুধি সমাজ এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডে বন্ধর জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আনান্দ মেলায় অব্যধ লটারীর বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, আনান্দ মেলার গতকাল উদ্বোধন হয়ছে কিন্তুু অবৈধ লটারীর বিষয় আমি অবগত নয় অবৈধ লটারী চললে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন নেব।
Leave a Reply