আশাশুনি প্রতিনিধিঃ ২০০৫ সালে ১৭ আগষ্ট দেশব্যাপী ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আশাশুনিতে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় সদর ইউনিয়ন পরিষদে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এস এম সাহেব আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা রাখেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান রাজপথের তুখোড় সাবেক ছাত্রনেতা এস এম হোসেনুজ্জামান হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ও অন্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন, আছাদুল ইসলাম, মহিতুর রহমান, শাহিনুর ইসলাম, তপন মন্ডল, ময়না পারভিন, আলমগীর হোসেন, আশরাফুজ্জামান তাজ, নজরুল ইসলাম, আবু বক্তর সিদ্দিক, জাহিদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান সবুজ, রুবেল হোসেন প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে উঠেছিল। এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে তারেক রহমান জড়িত ছিলনা। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দেশের মানুষকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা মজবুত হওয়ায় বিএনপি-জামাত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন তারেক রহমান জেএমবির সাথে আঁতাত করে ২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় ১৬১ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা ও দেশের মানুষকে ভীতির মধ্যে ফেলতে চেষ্টা করে। তিনি বলেন, আগষ্ট মাস বাঙালী জাতির কাছে শোকের মাস। আগষ্ট আসলেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মৌলবাদীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২৫ আগষ্ট মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা, শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে হত্যা, কামরুজ্জামান টুকুকে হত্যা করা হয়। সবশেষ তারা ১৫ আগষ্ট বাঙালী জাতির দুখের দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের নামে ইতিহাসে ভিন্নতর রাজনীতি করছে বিএনপি। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনে সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply