স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনিতে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। উপজেলার খাজরা, তুয়ারডাঙা, বামনডাঙা, শোভনালীসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়াড়িদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনগুটির জুয়া খেলায় অংশ নিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে অনেকেই। ফেল এলাকায় আইন-শৃংখলা অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। স্থানীয়রা জানান, প্রতিরাতে কোন না কোন স্থানে গোপন আস্তানায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে মিলিত হয় জুয়াড়িরা। ফলে প্রশাসনের জানার উপায় থাকে না কোথায় জুয়ার আসর বসছে। জুয়ার কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। বাড়ছে অপরাধ। সার্কাস দেখতে এসে এই অশ্লীল নাচও দেখছে শিশু-কিশোরেরা। তবে জুয়ার আসর পাহারা দেওয়ার জন্য রয়েছে তিন তিন স্তরের পাহারাদার। এদেরই একজন শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রতিরাতে পাহারা বাবদ পান এক হাজার টাকা-এমন দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পুরো মাঠে মানুষ আর মানুষ। সার্কার প্যান্ডেলের মধ্যে কোন জায়গা খালি নেই। শত শত মানুষ চারদিকে ঘিরে আছে। মঞ্চের মধ্যে চলছে অশ্লীল নাচ। যার কারণে পরিবার নিয়ে আসা অনেকেই পড়ছে বিপাকে। প্রতিদিন রাত ১ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অশ্লীল নাচ আর জুয়ায় নামক আসর চলছে রমরমা। স্থানীয় নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছু কিছু ব্যক্তি জানান, সার্কাসের নামে অশ্লীল নাচ আর জুয়া নামক খেলাটি বন্ধ হোক। দিন দিন এলাকার যুব সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। জুয়ার কারণে এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে পারিবারিকভাবে তাদের সংসারে অশান্তি বাঁধছে। এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অতিদ্রুত এটি যেন বন্ধ হয়। অশ্লীল নাচ আর নামক জুয়ায় আসর চলছে। আমাদের নাকের ডগায় বসে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে যারা খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সূত্রের দাবি কালিগঞ্জের খোকা, উজিরপুরের রুহুল আমিন এবং বড়দলের খোকন জুয়ার আসর পরিচালনা করেন। গতকাল রাতে পাহারাদার শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনৈক বড়ভাইয়ের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। জনৈক বড়ভাই নিজেকে হামিদ পরিচয় দিয়ে বলেন, জুয়ার আসর কোথায় কখন বসে তা আপনাকে বলবো কেন। তাছাড়া তালিকা করে আমরা টাকা দেই। সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজন আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। তার তালিকা আছে। আমরা একজনের কাছে সবার টাকা বুঝে দেই। কার কাছে টাকা দেন-এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুলের জনৈক বড়ভাই (হামিদ) বলেন-কার কাছে টাকা দেই তা আপনাকে বলতে হবে কেন। আপনি কে?
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, জুয়া, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিট এলাকায় পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে। কোন ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড পুলিশ মেনে নিবে না। তিনি এব্যাপারে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply