নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ঝুকিপূর্ণ একটি গাছের ডাল রাতের আধারে আকস্মিক ভেঙে পড়েছে। এঘটনায় সেখানে অধিকাংশ ঝুকিপূর্ণ গাছ ও গাছের মরা ডাল এখন রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের সহ স্থানীয়দের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। দলিল লেখকরা বলছেন, দীর্ঘদিন রেজিস্ট্রি অফিসের সীমানার ভিতরে ঝুকিপূর্ণ বেশ কিছু গাছ ও ওই সব গাছের ঝুকিপূর্ণ ডালপালা থাকলেও কর্তৃপক্ষের নজর সেখানে পড়ে না। প্রায় সময় বিভিন্ন গাছের ডালপালা ভেঙেপড়ায় দলিল লেখকদের সেরেস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি ঝুকিপূর্ণ একটি গাছের ডাল ভেঙে দলিল লেখকদের সেরেস্তা ভেঙে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দলিল লেখক আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম দিপু ও আব্দুল গফ্ফার। তাদের দাবি একাধিকবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ফল হয়নি।
তবে এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘সম্প্রতি সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সীমানা প্রাচীরের ধারের একটি ঝুিকপূর্ণ গাছের ডাল ভেঙে কয়েকজন দলিল লেখকদের সেরেস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাটা রাতে ঘটার কারণে সেরেস্তার ক্ষতি হলেও কোন মানুষ আঘাত পায়নি। তবে এটা যদি দিনের বেলায় হতো তাহলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো’। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আজাদ হোসেন জানান, ‘সেদিনের দুর্ঘটনা আমাদের পূর্ব সতর্কতা বলে আমি মনে করি। রেজিস্ট্রি অফিসের সীমানা ঘেষে সকল ঝুকিপূর্ণ গাছ ও ডালপালা অপসারণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি আমাদের সমাধানের ব্যাপারে আশ^স্ত করেছেন’।
সাধারণ সম্পাদক দাবি জানান, ‘ঝুকিপূর্ণ গাছ ও ডালপালা জরুরী অপসারণ করে রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক’।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঝুকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণের জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত ঝুকিপূর্ণ গাছ ও ডালপালা অপসারণ করা হবে’।
Leave a Reply