1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ লক্ষ টাকার প্রকল্প: তালায় প্রকল্পের টাকা পকেটে, প্রকল্প যাচ্ছে নদে, জনদূর্ভোগ চরমে! - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ লক্ষ টাকার প্রকল্প: তালায় প্রকল্পের টাকা পকেটে, প্রকল্প যাচ্ছে নদে, জনদূর্ভোগ চরমে!

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২২ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: তালা উপজেলার মেলা বাজার এলাকায় কপোতাক্ষ নদে ভয়াবহ ভাঙনে বাইপাস পাকা রাস্তাসহ ভাঙন সংলগ্ন এলাকা ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক দুটি প্যকেজে ৫৬ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তার সিংহভাগ নদী গর্ভে চলে গেছে। অতিসত্ত্বর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোন সময় রাস্তা, মন্দিরসহ তিনতলা বাড়িটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কপোতাক্ষ নদে মেলা বাজার এলাকার ভয়াবহ ভাঙনের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তাসহ মন্দির ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য আপদকালীন জরুরী প্যকেজে-১ এর মাধ্যমে গাছ দিয়ে পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেসার্স তানিয়া এন্টার প্রাইজ কেশবপুর নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভাঙন রোধে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে আরো জানায়, কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙন থেকে পাকা রাস্তাসহ মন্দীর ঘরবাড়ী রক্ষার জন্য আবারও আপদকালীন জরুরী প্যকেজে-২ বালির বস্তার ডাম্পিংয়ে ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজকে ২৭ লক্ষ টাকায় ৭ হাজার ২শ’ বালুর বস্তা ডাম্পিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে, যার কাজ চলমান।
কপোতাক্ষ নদের মেলাবাজার ভাঙন কবলিত এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা মেলেনি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন লোককে। স্থানীয় লোকজন নদীর ওপারে বালুর ভর্তি বস্তা গুলো দেখিয়ে বলেন, কিছু বস্তায় বালি ভরাট করে রাখা হয়েছে।আর মেলা বাজার-মাঝিয়াড়া সংযোগ রাস্তার মুখে বালু ও আরও কিছু বালু ভর্তি বস্তা এবং মোড়ের একটি দোকানের ভিতর রাখা বস্তাগুলো দেখান এ প্রতিনিধিকে।
এসময় তারা আক্ষেপ করে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ মেলা বাজার- মাঝিয়াড়া বাইপাস সংযোগ রাস্তাটি নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য পাইলিং ও মাটি ভরাটের জন্য সরকার ২৯ লক্ষ টাকা দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে নি¤œমানের পাইলিং ও মাটি ভরাট করার কারণে সপ্তাহ না যেতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তাটি নদীতে চলে গেছে।
এসময় তারা আরো বলেন, এখন শুনছি বালুর বস্তা দিয়ে নাকি ডাম্পিং করবে। সেখানে নাকি আরো ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এত টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরেও ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কখন যে মন্দিরসহ ঘরবাড়ি নদীতে মিশে যায় সেই আশংকায় রয়েছেন তারাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালুর বস্তায় ১৭৫ কেজি করে বালু দেয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে অনেক কম, তাই এই বালুর বস্তার ডাম্পিং কোনো উপকারে আসবে বলে মনে হয় না। এখন রাস্তার বাঁধ যে টুকু আছে সঠিক ভাবে দ্রুত ডাম্পিং করে রাস্তাটি সংস্কার না করা হয় তাহলে বাকি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকায় দিন কাটছে তাদের। এবিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল মতিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপৎকালীন জরুরী প্যকেজের-১ পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করেছেন। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তাটি নদীতে ডেবে গেছে। এখন আপৎকালীন জরুরী প্যকেজের-২ এর মাধ্যমে ডাম্পিং এর করার কার্যাদেশ পেয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে ভাঙ্গন এলাকায় ৫শ’ বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। বালীর বস্তা ভরাটের কাজ চলছে আগামী ১৫দিনের ভিতর বাকী বস্তাগুলো ফেলে ডাম্পিং এর কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিরুল ইসলাম জানান, তালা উপজেলার মেলাবাজারের সন্নিকটে কপোতাক্ষ নদের তীরে ভাঙ্গন রোধে আপদকালীন জরুরী প্যাকেজের আওতায় প্রথমে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গাছ ও বাঁশ দিয়ে পাইলিং করলেও সেটা টেকেনি। একই জায়গায় আবারও আপৎকালীন জরুরী প্যাকেজের ২৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৭২০০ বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা হচ্ছে। বস্তায় বালুর পরিমান কমের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন বস্তায় বালু ভরা হচ্ছে। এই কাজ শেষে আমরা ওজন করে নির্দেশনা দিলে সেলাই করে বাঁধ দেয়া হবে। এছাড়া প্রকল্প মনিটরিং এর জন্য এমপি সাহেবের প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জয় সরকার বলেন, আমাদের কমিটিতে রাখা হলেও কাজের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এমনকি ইস্টিমেটও দেয়া হয়নি। শুধু একদিন বালুর বস্তা গণনার জন্য জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd