1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
নৌকার কেন বিপর্যয় ইউপি ভোটে - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :

নৌকার কেন বিপর্যয় ইউপি ভোটে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩০ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক:দুই ধাপে ১১৯৮ ইউপির মধ্যে পরাজয় ৪২৪টিতে । হার ৪২ শতাংশ প্রার্থীর । দলের মধ্যে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ১ হাজার ১৯৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দলীয় বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের কাছে ৪২৪ ইউপিতে পরাজিত হয়েছেন। অনেক ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামানতও হারিয়েছেন। ১৩১ ইউপিতে প্রতিযোগিতা করতে পারেননি, এমনকি দ্বিতীয়-তৃতীয় অবস্থানেও ছিলেন না আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৮৯.৭৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৪২.২৮ শতাংশ। গড় ভোট পড়েছে ৭৩.৪৯ শতাংশ। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইউপির দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশই পরাজিত হয়েছেন। যদিও প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ৭৩.৪৮ শতাংশ বিজয়ী হয়েছিলেন। আর ওই ধাপে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন ২৪.২২ শতাংশ ইউপিতে। দুই ধাপের ভোটে ৪২৪ ইউপিতে নৌকার কেন বিপর্যয়, সেই হিসাব-নিকাশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের হাইকমান্ড বিদ্রোহীদের কাছে নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিদ্রোহী দমনে আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের পরাজয় নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের আগামী সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, দুই ধাপের ভোটে ২০ ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ছিল না। এসব ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। সেই হিসাবে দুই ধাপের ১ হাজার ১৯৮ ইউপি ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১৭৮ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে জয় পেয়েছেন ৭৫৪ জন তথা ৭৫৪ ইউপিতে। অন্য প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৪৪৪ ইউপিতে। তবে ২০ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিদ্রোহী ও অন্য দলের প্রার্থীর কাছে হেরেছেন ৪২৪ ইউপিতে। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকায় ভোট ভাগাভাগি হয়েছে। দলীয় বিশৃঙ্খলা, মনোনয়ন বাছাইয়ে দুর্বলতা ও সংসদ সদস্যদের নৌকার বিরোধিতার কারণে অনেক এলাকায় নৌকা হেরে গেছে। ইউপি ভোটে দিন দিন আওয়ামী লীগের ভোট কমছে। বলা চলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপি এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণও অনেকটা নামমাত্র। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং এ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেই নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তারাই নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছেন। ভোটারদের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার কারণেই অনেক ক্ষেত্রে নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেসব কারণেও ভোটাররা সুযোগ পেলেই নৌকা প্রত্যাখ্যান করছে। ইসি জানিয়েছে, গত ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫৮.২৭ শতাংশ জয়ী হয়েছেন। বাকি ৪১.৭৩ শতাংশ নৌকার প্রার্থী নিজ দলের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র (বিএনপি), অন্যান্য দলের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৩৯.৫৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত নেতারাও আছেন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভোট কমেছে। দ্বিতীয় ধাপের ৮৩৩টি ইউপির মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৪৮৫টিতে। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮১ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪০৪ জন জয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৩৩০টিতে। এ ছাড়া এই ধাপে জাতীয় পার্টি ১০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চারটি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি), খেলাফত মজলিশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একটি করে ইউপিতে জয়ী হয়েছে। প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বরের ভোটে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ৭৩.৪৮ শতাংশ ইউপিতে জয়ী হন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন ২৪.২২ শতাংশ ইউপিতে। ওই নির্বাচনে ৩৬৫টি ইউপির মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ২৬৯টিতে জয়ী হন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭২টি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯৭টিতে জয়ী হন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন ৮৮টি ইউপিতে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি তিনটি, জাতীয় পার্টি (জেপি) তিনটি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে ইউপিতে জয়ী হয়। ২০১৬ সালের চিত্র : পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে প্রথম দলীয়ভাবে ইউপি ভোট হয়। তাতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপাসহ অনেক দল অংশ নেয়। সেবার ছয় ধাপের ভোট হয়। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, প্রথম ধাপে ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ শতাংশ, পঞ্চম ধাপে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ ও ষষ্ঠ ধাপে ৭৬ শতাংশ ভোট পড়ে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিএনপি ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক জয় পায় ২ হাজার ৬৭০ ইউপিতে, বিএনপি ৩৭২ ইউপিতে আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৮০ ইউপিতে। বাকিগুলোয় রয়েছেন জাতীয় পার্টি, জাসদ, জেপি ও কয়েকটি দলের প্রার্থী।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2023
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd