লাইফস্টাইল ডেস্ক: খেজুরের রস (Date Palm Sap) বাংলাদেশ, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় প্রাকৃতিক পানীয়। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গ্রামাঞ্চলে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। পিঠাপুলি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় খেজুরের রস, তালের রস ইত্যাদি। আবার অনেকে কাঁচা খেজুরের রস রস পান করেন; তবে এক্ষেত্রে নিপা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার।
খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা এই রস স্বাদে মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। খেজুরের রসের উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো:
১. শক্তি প্রদান করে: খেজুরের রস প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, সুক্রোজ, এবং ফ্রুক্টোজ) সমৃদ্ধ। এটি সহজেই হজম হয় এবং শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
২. প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার: খেজুরের রস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি কিডনি এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
৩. পুষ্টি সরবরাহ করে: খেজুরের রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ (যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং আয়রন) রয়েছে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
৪. হজমশক্তি উন্নত করে: এতে প্রাকৃতিক ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
৫. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: খেজুরের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফ্রি র্যাডিকাল থেকে রক্ষা করে।
৬. সর্দি-কাশি উপশমে সহায়ক: খেজুরের রস প্রাকৃতিক উষ্ণতায় ভরপুর এবং এটি ঠান্ডা, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে কার্যকর।
৭. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: খেজুরের রসের ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
৮. রক্তস্বল্পতা দূর করে: খেজুরের রসে আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৯. দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: খেজুরের রস শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। এটি গ্রীষ্মকালে হাইড্রেশনের একটি ভালো উৎস।
১০. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। খেজুরের রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা অঢেল হলেও এটি সংরক্ষণের সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, দ্রুত ফারমেন্টেশন হলে এটি মদ বা নেশার দ্রব্যে পরিণত হতে পারে। তাজা অবস্থায় খাওয়া উত্তম।
Leave a Reply