1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
১৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰দেবহাটায় অনুমোদন বিহীন সার মজুদ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ২লক্ষ টাকা জরিমানা📰ব্রহ্মরাজপুর বাজারে দুই ভাইয়ের মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০জন জখম📰গত অর্থ বছরে ৪ হাজার ১০৭ টন চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে📰সাতক্ষীরার ভোমরার পূজামণ্ডপে বিজিবি মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী📰আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ঘটকসহ আহত-৩📰সাংবাদিকের জানে মেরে দেবো সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টারের অমায়িক বাবুর হুমকি📰তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ📰সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ গ্রেফতার- ২📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)

৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। মূলত সেদিনই স্বাধীন দেশ হিসেবে একপ্রকার বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে যায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ লাখের বেশি জনসমুদ্রে পাকিস্তানি শাসকের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রেসকোর্স ময়দানে ২৩ বছরের বঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। তাঁর ১৮ মিনিটের অসামান্য ভাষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় মেলে। সেই দিন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ নতুন জীবনের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইল প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মূলত পাকিস্তানি হানাদারদের আলটিমেটামই দিলেন। অন্যদিকে মুক্তিকামী বাঙালিকে বাতলে দিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মপন্থা-কৌশল। দিলেন মুক্তির পথের সঠিক দিকনির্দেশনা। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল নেয়। কিন্তু তাদের কৌশলকে ভোঁতা করে দিতে রুখে দাঁড়ালেন টুঙ্গিপাড়ার মুজিব, যা তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাব এনে দেয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রতিটি স্তরে অগ্রসেনানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬এর ছয় দফা, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ তাঁর নেতৃত্বের ক্যারিশমা দেখেছে জাতি, পুরো বিশ্ব। অবশেষে তাঁর নির্দেশে, দেখানো পথে একাত্তরে বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন। শেষ করেন ৩টা ৩ মিনিটে। রাজনীতির কবি এর মধ্যেই লাখো বাঙালিকে তাতিয়ে তোলেন। শাণিত করেন তাঁদের সাহস। ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস আর আত্মত্যাগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখ অ্যাসেমবিø ডেকেছেন। রক্তের দাগ শুকায় নাই। রক্তে পাড়া দিয়ে, শহীদের ওপর পাড়া দিয়ে, অ্যাসেম্বলি খোলা চলবে না।’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। দেশের মানুষের অধিকার চাই।…আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না।’ কত বড় সাহস আর দূরদর্শী হলে এসব বলতে পারেন, তা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। তিনি একদিকে পাকিস্তানি জান্তাকে হুঁশিয়ার করলেন এই বলে যে, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না।’ একই সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালিকে শত্রুর আঘাতে প্রতিঘাত করার পথ বাতলে দিয়ে বলেন, ‘জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, পানিতে মারব।’ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন এটা নিয়ে কারও দ্বিমত ছিল না। তবে কীভাবে দেবেন সেটাই ছিল মূল আকর্ষণ। রাজনীতির পোড় খাওয়া সৈনিক এ ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী হলেন। কারণ, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন আর ইয়াহিয়া মুক্তিকামী জনতাকে নির্বিচার হত্যা করবে, তা চাননি। ৬ মার্চ রাতে ইয়াহিয়া দীর্ঘ ফোনালাপে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেন, তিনি যেন এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করেন, যেখান থেকে ফেরার আর উপায় না থাকে। বঙ্গবন্ধু একবারও উচ্চারণ করলেন না যে এটাই স্বাধীনতার ঘোষণা, অথচ পাকিস্তানি শাসককে থোড়াই কেয়ার করে কৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিলেন। বজ্রকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেন, ‘ প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’ পাকিস্তানি শাসকের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, নিরস্ত্র বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কেবল গুলি খেতে বুক পেতে দেবে না, তারা পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত।৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে সেটা হতো বাঙালির জন্য চরম আত্মঘাতী। তিনি চেয়েছিলেন, ইয়াহিয়া-ভুট্টো যেন অপ্রস্তুত ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালানোর অজুহাত না পায়। ৭ মার্চের ভাষণের মূল উপজীব্য নির্দিষ্ট করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি একটানা ৩৬ ঘণ্টা বৈঠক করে। বৈঠকে তারা কোনো স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। তখন বঙ্গবন্ধু উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যা বলা আবশ্যক, তাই বলার দায়িত্ব নেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অন্যতম দিক হচ্ছে, তাৎক্ষণিকতা। অর্থাৎ কোনো রকম লিখিত স্ক্রিপ্ট ছাড়াই তিনি অনর্গল বলে গেলেন সব কথা। যা শুনে মনে হবে তিনি জনসমুদ্রের মানুষগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। দেশবাসীর বোধগম্য ভাষাতেই কথা বলেছেন। ঘোরতর প্রতিপক্ষ ও শত্রুকেও সৌজন্যমূলক সম্বোধন করেছেন। ৭ মার্চের ভাষণের আগে নানা মুনির নানা মত উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু তাঁর চিরচেনা ভঙ্গিতে লাখো জনতার সামনে যে ইতিহাসখ্যাত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী ভাষণ দেন, তার প্রেরণা তিনি পান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছ থেকে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বড় সাক্ষী। ঘরে তখন বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব আর শেখ হাসিনা। তিনি বললেন, তুমি দশটা মিনিট শুয়ে রেস্ট নাও। শেখ হাসিনার ভাষায়, ‘আমি মাথার কাছে, মা মোড়াটা টেনে নিয়ে আব্বার পায়ের কাছে বসলেন। মা বললেন, মনে রেখো তোমার সামনে লক্ষ মানুষ। এই মানুষগুলোর নিরাপত্তা এবং তারা যেন হতাশ হয়ে ফিরে না যায়, সেটা দেখা তোমার কাজ। কাজেই তোমার মনে যা আসবে তাই তুমি বলবা। কারও কোনো পরামর্শ দরকার নেই। তুমি মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করো, কাজেই কী বলতে হবে তুমি জানো। এত কথা, এত পরামর্শ কারও কথা শুনবার তোমার দরকার নেই। এই মানুষগুলোর জন্য তোমার মনে যেটা আসবে, সেটা তুমি বলবা।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সর্বজনীনতা। এই ভাষণ দেশ-কালের গন্ডি ছাড়িয়ে সর্বজনীন হয়েছে। অলিখিত বক্তৃতাটিতে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এই ভাষণ একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়েছে। এই ভাষণের এমনই শক্তি যে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধেও এই ভাষণই বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে। আজও বাঙালি জাতি, বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে এ ভাষণ উদ্দীপ্ত করে, পথ দেখায়। এ পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ইতিহাসখ্যাত ভাষণ দিয়ে অমর হয়ে আছেন। আমেরিকার নাগরিক-অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৩ সালে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অত্যাচার–বৈষম্যের অবসান ঘটাতে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে ভাষণ দেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৩ সালে অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশবাসীর প্রতি বক্তৃতা দেন, ১৮৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার গেটিসবার্গে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের স্মরণসভায় আব্রাহাম লিংকনের দেওয়া ভাষণটি ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। দ্বিতীয় ভার্জিনিয়া কনভেনশনে প্যাট্রিক হেনরির ভাষণ, রিভোনিয়া ট্রায়ালে বর্ণবাদী সরকারের প্রতি নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষণ। উল্লিখিত কোনো ভাষণ দেওয়ার সময়েই এই প্রতিভাবান মানুষগুলোকে প্রতিপক্ষের ভয়ংকর চাপের মুখে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে হয়নি। গণমানুষ তাদের নেতার ওপর বিশেষ কোনো দাবিও চাপিয়ে দেয়নি। এর মধ্যে আব্রাহাম লিংকন ও মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণ ছিল লিখিত। ভাষণের আগে পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল তাৎক্ষণিক, উপস্থিত ও অলিখিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বখ্যাত এ ভাষণগুলো একটি বিশেষ গোষ্ঠী বা বিশেষ ধর্ম-বর্ণ-মতের মানুষের উদ্দেশে দেওয়া। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি একটি জাতির উত্থানের পথ খুলে দিয়েছিল, কোটি কোটি মানুষের বাঁচার দাবি নিয়ে এত অসাধারণ ভাষণ পৃথিবীতে আর ধ্বনিত হয়নি। এ ঐতিহাসিক ভাষণকে উপজীব্য করেই জন্ম নেয় ‘বাংলাদেশ’ নামক এক জাতিরাষ্ট্র।তাই পৃথিবীর যেকোনো জাতির সংগ্রামের জন্য, মুক্তির জন্য এবং স্বাধীন–সার্বভৌম ভূখন্ডের জন্য জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই শ্রেষ্ঠতম।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd