নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যে ভরে গেছে বেনাপোলের মেঠোপথের মাঠ। জলাশয়ের লাল শাপলা কাছে টানছে পথচারি দর্শণার্থীসহ বিনোদনপ্রেমী মানুষের। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফুটেছে লাল শাপলার দল। মুগ্ধ করছে সব বয়সের নারী শিশুদের। প্রকৃতি ও নিরিবিলি পরিবেশে অপরুপ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা।
বর্ষা শরৎ হেমন্তের পর শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। প্রকৃতির রয়েছে কতইনা রুপ। আর এই শীতের আগমনে প্রকৃতি প্রেমী মানুষের মধ্যে শোভা ছড়াচ্ছে লাল শাপলা। যশোরের বন্দর নগরী বেনাপোলের দক্ষিণ পূর্ব গ্রাম ভবারবেড়। এই গ্রামের পাশে আমড়াখালি খড়িডাঙ্গা সড়কের হাবিবুর রহমান বিশ্বাস নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠটির জলাশয়ে ফুটেছে লাল শাপলা। রাস্তার দু’পাশের জলাশয়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাথা উঁচু করে ফুটে আছে লাল শাপলা। অপরুপ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে শাপলা ফুল। সকাল সন্ধায় অনেকে আসছেন দেখতে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। শিশুরা তুলছেন লাল শাপলা। বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে তাদের।
শিক্ষার্থী লিপি খাতুন ও মনিরা বলেন, সকাল সন্ধ্যায় অনেকে আসেন এখানে। তারাও স্ববান্ধবে সময় পেলেই চলে আসেন শাপলা ফুল দেখতে। ভাল লাগে তাদের। দর্শণার্থী ইব্রাহিম হোসেন ও শিরিনা খাতুন বলেন, মনোমুগ্ধকর স্পটে রুপ নিয়েছে এলাকাটি। লাল শাপলা এখন দেখা মেলে কম। তাইতো তারাও দেখতে এসেছেন।
স্থানীয় এই মাঠটিতে হতো ধান, পাট, গম, ছোলা, মুসুরীসহ বিভিন্ন ফসল চাষ। এলাকায় অবাধ বেড়িবাধের কারণে হচ্ছেনা পানি নিষ্কাশন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। দুই তিন বছর ধরে এখানে ফুটছে লাল শাপলা। তবে এবার ব্যাপক এলাকাজুড়ে লাল শাপলায় ভরে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, দুই বছর ধরে ফুটছে লাল শাপলা। অনেকে নিয়ে যাচ্চেন ফুল ও গাছ তুলে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার মন্ডল জানান, উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লাল পদ্মর চাষ হলেও লাল শাপলার চাষ নেই কোথাও। খালে বিলে জলশয়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মেছে লাল শাপলা।
Leave a Reply