আবু সাঈদ,সাতক্ষীরা: শীতের প্রকোপ ও কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরায় বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত দিন ও রাতের দীর্ঘ সময়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে বীজতলা। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ড. জামাল উদ্দিন জানান, এবার জেলায় তিন হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৪৫০ হেক্টর জমিতে।সাতক্ষীরার কৃষক ফিরোজ হোসেন ও আবু ওসমান জানান,সাতক্ষীরায় আমন ধান কাটা শেষ না হতেই এবার বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়।সাতক্ষীরা সদররের কাশেমপুর বিল, শ্যালের বিল, ডেইয়ের বিল, দেবনগর বিল, যোগরাজপুর বিলসহ জেলার সাতটি উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আগে ভাগে বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। এবার ২৮, ৪৭ ৬৭, ৮৮ জাতের বোরো চাষ হচ্ছে। তবে সেেবচয়ে বেশি চাষ হচ্ছে কৃষকরে ভাষায় রড মিনিকেট জাতের। তবে হঠাৎ করে শীত ও কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বীজতলা। ফলে কাঙ্খিত ধান উদপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।দেবনগর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিক জানান, এবার আগে ভাগে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলাম। ২৮ ও ৮৮ জাতের এক কেজি বীজ ধান ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। বীজতলা থেকে পাতা তোলার সময় দেখতে পান লাল রং এর পাতা। হঠাৎ করে শীত ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় কোল্ড ইনজুরি জনিত রোগের কারণে এমন হচ্ছে। তবে এর হাত থেকে বিজতলা রক্ষারজন্য তারা সূর্যাস্তের আগে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন এবং পরদিন ভালভাবে রৌদ্র না দেখা দেওয়া পর্যন্ত পলিথিন না খোলার জন্য তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান জানান,শীত ও কুয়াশা বাড়ায় ধানের বীজতলা লাল হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার আগে থেকে পরদিন সকাল ১১টা নাগাদ বীজতলা পলিথিন দিয়ে মুড়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
Leave a Reply