1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
পণ্যের মূল্য বাড়লেও মানুষের মূল্য বাড়ে না - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
১৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰দেবহাটায় অনুমোদন বিহীন সার মজুদ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ২লক্ষ টাকা জরিমানা📰ব্রহ্মরাজপুর বাজারে দুই ভাইয়ের মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০জন জখম📰গত অর্থ বছরে ৪ হাজার ১০৭ টন চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে📰সাতক্ষীরার ভোমরার পূজামণ্ডপে বিজিবি মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী📰আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ঘটকসহ আহত-৩📰সাংবাদিকের জানে মেরে দেবো সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টারের অমায়িক বাবুর হুমকি📰তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ📰সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ গ্রেফতার- ২📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)

পণ্যের মূল্য বাড়লেও মানুষের মূল্য বাড়ে না

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৩৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তুহিন হোসেন:

রমজানের আর মাত্র ২২দিন বাকি। তার আগেই নিত্যপণ্যের বাজার হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত। চাহিদা অনুযায়ী বাজার করা যাবে কি-না সেজন্য পণ্য ক্রয়ের আগে বার বার পকেটে হাত দেন ক্রেতারা। অনেকেই প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। চাল, ডাল, ডিম, মাছ, মাংসসহ সবকিছুই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াত ব্যয় বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও আয় তেমন বাড়েনি। ফলে বর্তমানের সর্বনিম্ন মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিকের জীবনযাপন সম্ভব হচ্ছে না। বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মাত্র দিন সাতেকের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে দেড় থেকে দুই টাকা। শীত শেষ হওয়ায় মৌসুমি সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া-পাঙাশের মতো মাছের কেজিও হয়েছে ২০০-২২০ টাকা। কয়েকদিন থেকে অস্থির ব্রয়লার ও ডিমের দাম। বেড়ে যাচ্ছে দফায় দফায়। বর্তমানে ২৪০টাকা কেজির এ সব মুরগির দাম সপ্তাহখানেক আগে ছিল ২২০টাকা। আর এক মাস আগে বিক্রি হতো ১৬০টাকা কেজি। একইভাবে ডিমের দাম মাসের ব্যবধানে হালিতে প্রায় ১০-১২টাকা বেড়ে হয়েছে ৪৫-৪৮টাকা। অন্যদিকে রমজানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হলো ছোলা-বুট। আর বাজারে সেই ছোলা-বুট এখনই কেজি ৯০-৯৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক থেকে দেড় মাস আগেও ছিল ৬০-৬৫টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫টাকায়। বেড়েছে আমদানিকৃত সব ধরনের ফলের দামও। ডিম, মসলা ও মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যেরই দাম বেড়েছে।
রমজানের আগে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানান বাজারের বিক্রেতারা। তারা বলেন, বেশি দামে কিনতে হয়, এ কারণে আমাদের কিছু করার নেই। দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি কমে গেছে প্রায় অর্ধেক। বেশি দাম থাকলে তো মানুষ কিনতে চাইবে না।
তানজিলা জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি মাঠে কাজ করেন। দিন শেষে মজুরি পান ৩০০টাকা। তাও আবার দুপুরে নিজেকেই খেতে হয়। বাড়িতে অসুস্থ্য স্বামী আর ৩ কন্যার সংসার তার কাঁধেই। ৩০০টাকা দিয়ে তার সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন স্বামীর ওষুধ কিনতে হয় তাকে। প্রায় দিন তিনি না খেয়ে কাজে যান। ৩০০টাকার মজুরিতে চাল-ডাল কিনতেই চলে যায় ১৫০ টাকা। বাকি টাকায় স্বামীর ওষুধ। পাশেই আরেক নারী শ্রমিক বলে উঠলেন, সারাদিন কাজ করে হেনে ৩০০টাকা পাই। ৩০০টাকা দিয়ে কি আর সংসার চলে? যে হারে জিনিসের দাম বাড়িছে। কয়দিন পর তো না খায়ে মরিবা যাবো। তিনি জানান, এক বছরে নিত্যপণ্যের প্রায় জিনিসের দামই দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু মানুষের আয়-রোজগার বাড়েনি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে। তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে বাঁচবে। ক্রেতা মামুন খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব পণ্যের দামই লাফিয়ে বেড়ে যায়। কিন্তু মানুষের মূল্য বাড়ে না। স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে এই শহরে তার জীবন ভালো কাটছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মাছ ও মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন তার পরিবার। খুচরা বিক্রেতা গনি বলেন, পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা সহজে কমে না। শীতের সবজি শেষের দিকে। ফলে দাম বাড়ছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, যেসব সবজির মৌসুম শেষ সেসব সবজির দাম কিছুটা বেশি। কারণ ওইসব সবজির সরবরাহ কমে গেছে।
আমিনুর বলেন, জিনিসপাতির যা দাম, কি খায় বাচিবো। দাম বেশি হওয়ায় কোনো কিছুই কিনতে পারছি না। খাবো কী, মোটা চালের দামও বেড়েছে। আত্মীয় আসলে কষ্ট করে মুরগি দিয়ে চালাতে হয়। মিজানুর রহমান একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বাজারে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন বাজার করতে। মিজানুর বলেন, মাসে ১৮ হাজার টাকা বেতন পাই। দুই বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। অথচ বাজারে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ দিতেও হিমশিম খেতে হয়। আমার না খেয়ে থাকতে পারি কিন্তু বাচ্চারা মাছ, মাংস, ডিম ছাড়া খেতে চায় না। তাদের কীভাবে বুঝাবো- আমি আর সামলাতে পারছি না।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার পরিচালক বলেন, প্রতিদিনই আমরা বাজার তদারক করছি। অনিয়ম পেলে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd