জি এম রাজু আহমেদ/ আব্দুল্লাহ আল মামুন অরকো: জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, বাড়েনি নিম্নবিত্তের আয়। প্রতিদিন রান্নাঘরে যেসব উপকরণ দরকার, তার প্রায় সবকিছুরই দাম বেড়েছে।ফলে সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার সকল বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম ঊর্দ্ধমুখী।কয়েকদিনের বৃষ্টির অজুহাতে আবারও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে।এছাড়া বেড়েছে অন্য সবজির দামও। তবে, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির বাজারে।মুরগির দাম কেজিপ্রতি কমেছে আরও ২০ টাকা। গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর, মৌতলা, কৃষ্ণনগর, বাঁশতলা, নাজিমগঞ্জ সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।কাঁচাবাজার গুলোতে চিচিঙ্গা ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৫০-৬০, আলু ৬০, পটল ৬০, কাঁকরোল ও করলা ৯০-১০০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, টমেটো ১৪৯- ১৫০, বরবটি ১৩০-১৪০, পেঁপে ৫০-৬০, গাজর ১৪০ এবং শসা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, সোনালি ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম। ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, কাতল ৩২০ থেকে ৩৬০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, আকারভেদে পাঙ্গাস ১৮০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৭০০, টেংরা ৩৭০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।মুদিপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৪৭ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা। তবে বাড়েনি চাল, আটা-ময়দার দাম। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জাতভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা কয়েকজন বলেন, প্রতি সপ্তাহে একটা না একটা পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেই। এটি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। একদিন বৃষ্টির কারণে তো অন্যদিন রোদের কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব অজুহাত হাস্যকর। সরকারের উচিত এসব বিষয়ে কঠোর মনিটরিং করা। সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে না হয় এভাবেই তারা লুটেপুটে খাবে।
Leave a Reply