তুহিন হোসেন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসা নিন্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ২৫ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে আঘাত আনতে পারে। সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর অধিনে ৮২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ফাঁটল ও ভাঙ্গন থাকায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। রবিবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দু’টি বিভাগের আওতাধীন প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এসব বাঁধের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫টি পয়েন্টের ভয়াবহ ভাঙ্গন ও ফাঁটল রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫৬ টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রকেন্দ্র গুলি প্রস্তুুত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এবং তার বিভাগের অধীনে ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি, দাতনেখালী, দেবহাটার ভাতশালা ও হাড়দ্দহা এলাকা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর অধীনে প্রায় ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধের মধ্যে সাতক্ষীরার ১০ কিলোমিটার ও বাকি ৩০ কিলোমিটার খুলনা জেলার কয়রায় অবস্থানরত। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদরের কিছু অংশ এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নে বেশ কিছু বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। পাউবো’র পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।
Leave a Reply