★আলমগীর ও সুমনের দৌড়ঝাঁপ; কেন্দ্রবিন্দুতে ড্রাগ সুপার।
★”ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাইনি” স্টাইলে অভিযুক্তরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
★নাম প্রকাশ নিয়ে আলমগীর সুমনের কেন এত দৌড়ঝাঁপ..?
★চাকরিতে যোগদানের পর আলমগীরের সম্পদ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
★স্ত্রী ও সন্তানদের নামে আলাদা আলাদা ভাবে সম্পদ সংরক্ষণ করেছেন যা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
★উচ্চ মূল্যে জমি কিনে নিজের চাকরির প্রভাব খাটিয়ে দানপত্র দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করেন।
মুজাহিদ সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাতক্ষীরা অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন এবং কম্পিউটার অপারেটর সুমনের বিরুদ্ধে ড্রাগ সুপারের নামে ঘুষ আদায়ের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। গত তিন দিনে সাতক্ষীরা ও খুলনার সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে বড় বাবুদের ম্যানেজের চেষ্টা করে তারা। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় পাঁচ হাজার ফার্মেসী আছে। যার মধ্যে প্রায় দুই হাজারের মতো লাইসেন্স নীতিমালা মেনেই ইস্যু করা হয়েছে। তবে এসব লাইসেন্স মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে ইস্যু করা হয়। এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগেস্টস্ সমিতির সাতক্ষীরা অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন ওরফে বস্ আলমগীর এবং কম্পিউটার অপারেটর সুমন। এছাড়া ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ের রেজাউল ইসলাম বুলবুল এই চক্রের সাথে জড়িত। বছরের পর বছর ধরে সাতক্ষীরায় ঔষধের ব্যবসা বিনা বাধায় লাইসেন্স নবায়ন না করেই চলছে। তবে বেশিরভাগ ফার্মেসি মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরা ক্যামিস্ট ও ড্রাগিস সমিতির গুটি কয় ব্যক্তি এর জন্য দায়ী। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী কোন ঔষধ এর দোকান তথা ফার্মেসি করার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। আর এই ড্রাগ লাইসেন্স তিনি পাবেন, যার ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং ও সনদ রয়েছে। দুই বছর মেয়াদী এ ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এজন্য পৌরসভার মধ্যে তিন হাজার টাকা ও পৌরসভার বাহিরে গ্রাম এলাকার জন্য ১৫ শত টাকা চালান কেটে জমা দিতে হয়। এরপর দুই বছর অন্তর এ লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য ফার্মাসিস্টের এই শর্তটি সঠিকভাবে অনেকেই পূরণ করেন না। অনেকেই ৬ মাস মেয়াদী ফার্মাসিস্ট সম্পূর্ণ করে ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহের পর অন্যকে দিয়ে ঔষধ ব্যবসা পরিচালনা করেন। আর এভাবেই সাতক্ষীরার ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চলে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য। ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে হাজারের অধিক অবৈধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার তাদের দাবি কৃত ঘুষ না দিলে সব শর্ত পূরণ করার পরও লাইসেন্স ইস্যু করতে গড়িমসি করা হয়। ড্রাগ লাইসেন্স পেতে ব্যাংক স্বচ্ছলতা সনপত্র, লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার ট্রেজারি চালান, দোকান ভাড়ার রশিদ পত্র, ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারনামা ও পৌর/ইউনিয়নের ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হয়। পৌর এলাকায় ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ফি দুই হাজার টাকা আর পৌর এলাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা। নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে করে দেওয়া নিয়ম থাকলেও তাদের নির্দিষ্ট অংকের ঘুষ না দিলে পোহাতে হয় বছরের পর বছর। চক্রটির অনিয়ম অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন এবং বলেন সব মিটে যাবেনে দেখা করেন। ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সাতক্ষীরা অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন ওরফে বস আলমগীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও আলাপ কলটি রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply