1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
পাইকগাছা উপজেলা থেকে বাঁশ ও বেতশিল্প বিলুপ্তির পথে - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :

পাইকগাছা উপজেলা থেকে বাঁশ ও বেতশিল্প বিলুপ্তির পথে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

কাজী সোহাগ পাইকগাছা প্রতিনিধি: কপিলমুনিসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ ও বেতশিল্প বিলুপ্ত প্রায়। পরিবেশ বিপর্যয় তথা উপকুলীয় এলাকায় ঘুর্ণিঝড় আইলা, সিডর, নারগিস ইত্যাদির কারণে এলাকাসমুহ প্লাবিত হওয়ায় লোনা পানির প্রভাব, বাঁশ ও বেত চাষে প্রয়োজনীয় পুঁজি ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে এই শিল্প। অন্যদিকে দেশীয় প্লাষ্টিকের বাজার জমজমাট হওয়ায় এ পেশায় নিয়োজিতরা বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক পন্য ও অন্যান্য দ্রব্যের সাথে পাল্লা দিতে না পারায় তাদের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। যার কারণে গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব শিল্প। তার সাথে অত্র এলাকার বাঁশ শিল্পের কারিগরদের ভাগ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্দিন। অনেকে তাদের পূর্ব পুরুষের পেশাকে আঁকড়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেও হিমশিম খাচ্ছেন।
এক সময় কপিলমুনি এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর কদর ছিল খুব বেশী। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন তা আর বিশেষ চোখে পড়ে না। অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশ ও বেত শিল্পীরা তাদের বাপ দাদার পৈত্রিক পেশাকে ছেড়ে অন্যান্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পের কারিগররা নিরুপায় হয়ে ঐতিহ্যটাকে আঁকড়ে ধরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় বাঁশের তৈরি কুলা, খাচা, চালনী, চাটাই, ডোল, ডালা, খাদি, ঝুড়ি, পলো, চেয়ার, পাখা, টোপা প্রভৃতি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হতো। এলাকার গ্রামগুলোতে এসব শিল্পের চাহিদা ছিল অনেক বেশি, যার চাহিদা পূরণেও সক্ষম ছিল এ শিল্পে নিয়োজিতরা।
এ শিল্পে সংশ্লিষ্ট অমিতাভ সন্যাসী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের কাজের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ পেশায় দক্ষ শিল্পীদের পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম দুরবস্থা। যার ফলে কুটির শিল্পের উপর নির্ভরশীল পরিবারে চলছে দুর্দিন। বেকার হয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে আগের তুলনায় পরিমাণ মত বাঁশের জন্ম বা উৎপাদন সঠিকভাবে হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আগে যে বাঁশ ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে সেই বাঁশের মূল্য ২৫০/৩০০ টাকা। অথচ বাঁশজাত পন্যের দাম সে পরিমাণে বাড়েনি। অন্যদিকে বাঁশের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে বংশবৃদ্ধির আগেই তা উজাড় করে কাটা হচ্ছে এসব বাঁশ।অনুসন্ধানে দেখা যায়, আশির দশকে গ্রামের বেশীর ভাগ ঘরবাড়িই বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হতো। একটি ঘর তৈরি করতে বাঁশ লাগত প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি। সে সময় প্রত্যেকটি গ্রামে বড় বড় বাঁশঝাড় ও বেত বাগান দেখা যেত। কিন্তু এখন তা আর চোখে পড়ে না। কারণ বাঁশঝাড় ও বেতবাগান পরিস্কার করে সেখানে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন বাড়ি। অপর দিকে শহরে গড়ে উঠেছে বড় বড় পাকা দালান।
যদিও ইট পাথর সিমেন্ট দিয়ে তৈরি এসব দালান ঘর। তবুও নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। এসব কারণে বাজারে তাদের উপার্জন কমে গেছে। ক্রয়ের তুলনায় বিক্রি মূল্য অধিক না পাওয়ায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে কাজের প্রতি তারা দারুনভাবে অনীহা প্রকাশ করছেন এবং অনেকেই পৈত্রিক পেশা ছেড়ে অন্যান্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2023
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd