বিশেষ প্রতিনিধি:: দেবহাটার কুলিয়ায় জামায়াতের অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুলিয়া ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে দুপুর সাড়ে ৩ ঘটিকায় কুলিয়া বাজারের পার্শ্বে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ মাও: সাদিকুল ইসলামের সঞ্চালনার ও ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাহাবুবুল আলম, জেলার অন্যতম সদস্য এম আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম, সেক্রেটারী এইচএম ইমদাদুল হক, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন, ভোমরা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আনোয়ার কবির, জামাত নেতা মাসুম খান চৌধুরী, দেবহাটা ইউনিয়ন জামাতের আমীর আবুল হোসেন প্রমুখ। বক্তরা বলেন, কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষ এখন মুক্ত পাখির মত ডানা মেলিয়ে বেড়াতে পারবে, কুরআন হাদিসের আলোকে চলবে এই বাংলাদেশ। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। এদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দেওয়ার অধিকার ছিল না। দলীয় মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। সৎ লোকের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা না গেলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। বাংলাদেশ ৭১ এ স্বাধীন হলেও আমরা তার কোন সুফল পাইনি। আসুন আমরা সৎ লোকের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের তৈরী আইন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। শান্তি আনতে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। কারণ স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নতুন নতুন আইন তৈরী করে দেশের মানুষদের অন্যায় ভাবে হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন করেছে। তাদের জুলুমে সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী শাসনামলে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষের ভোটাধিকার, বিরোধী দলগুলোকে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মহান আল্লাহ স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছে। আজ দেশের মানুষ স্বাধীন। আগামীর দেশ হবে সুন্দর ও শান্তির বাংলাদেশ। বিগত দিনের সরকারের লক্ষ ছিল দূর্নীতি অনিয়ম করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন। আগামীদিন জামায়াত ইসলামকে রাষ্টের ক্ষমতায় আনা হলে দেশ থেকে অনিময়, দূর্নীতি থাকবে না। বক্তরা উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বিভিন্ন সময় ক্ষমতায় এনে দেখেছেন শাসন। একটিবার জামায়াত ক্ষমতায় আনা হলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ হবে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয় করে দিবে। যেখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবে। কারণ জামায়াত কোন অর্থ বা বিশেষ সুবিধার জন্য রাজনীতি করে না। দুনিয়ার সুখ নয় পরকালের সুখের জন্য জামায়াত ইসলাম কাজ করে। বক্তরা আরো বলেন, আজ অফিস উদ্বোধন করার কথা না এখানে অফিস ছিলো, স্বৈরাচারি সরকারের পেটুয়া বাহিনি ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এই কুলিয়ার মাটিতে ৪ জন ভাইকে নির্মামভাবে শহীদ করা হয়েছিল। বিশেষ করে শহীদ আবুল কালাম, শহীদ আক্তারুল ইসলাম, শহীদ আলী মোস্তফা কি অপরাধ ছিলো তাদের। তারা স্বপ্ন দেখতো দেশে ইসলাম কায়েমের, দেশে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন হোক, এটা ছিলো কী তাদের অপরাধ। শেখ হাসিনার সরকার চেয়েছিল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে, কিন্তু তারা নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আজ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা স্বৈরাচারি সরকারের আমলে অপরাধ করেছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের (ভারপ্রাপ্ত) সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান মোল্লা, সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইয়াকুব সরদার, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম, পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আবু ইউসুফ, দেবহাটা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবুল হোসেন, কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গফফার, সহকারী সেক্রেটারী ইয়াকুব আলী, ইউনিয়ন টিম সদস্য রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply