1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
কলারোয়ায় সাঁকো ভেঙে পড়ায় বিপাকে ৫ গ্রামের মানুষ - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰ব্রহ্মরাজপুরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবক যুবতী আটক📰সাতক্ষীরার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত📰শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার📰সাতক্ষীরা জেলায় বিএনপির কার্যক্রম স্থগীত📰সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত📰তালায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক-৪📰আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য,সন্ত্রাস,ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কালিগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিবাদ মিছিল📰দেবহাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত📰সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত📰সালাম-বরকত-রফিকের রক্তের অঙ্গীকারে ছিলো গণঅভ্যুত্থানের শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা

কলারোয়ায় সাঁকো ভেঙে পড়ায় বিপাকে ৫ গ্রামের মানুষ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলম হোসেন কলারোয়া: কলারোয়ার কোঠাবাড়ি- রায়টা গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি বেত্রবতীর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। ড্রামের ভেলা ভাসিয়ে চলছে নদী পারপার। কোঠাবাড়ির পাশের গ্রাম শুভংকরকাটি ও হেলাতলা অপর পাড়ে রায়টা ও আলাইপুর গ্রাম। বেত্রবতী নদীর তীরে এ গ্রামগুলোর অবস্থান।
সাঁকোটির বেহাল দশায় কোমলমতি স্কুল পড়ুয়াসহ বিপুল জনগোষ্ঠী নদী পারাপারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) সরেজমিন ঘটনাস্থলে যেয়ে এ বিরূপ অবস্থা প্রত্যক্ষ করা গেছে। এ জনপদের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, বেত্রবতীর ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করার। কোঠাবাড়ি গ্রামের ঠিক বিপরীতে নদীতীরবর্তী কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা গ্রাম। এই দুই গ্রামকে বিভক্ত করেছে বেত্রবতী। এ নদী বর্তমানে শ্যাওলা-কচুরিপানায় ঢাকা পড়ে গেছে। নদীর দুপাড়ের মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিলো অনিরাপদ একটি বাঁশের সাঁকো। প্রায় ৭০ মিটার দীর্ঘ ও ৪ ফুট চওড়া এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াত চলে।
এই সাঁকো ভেসে যাওয়ায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে নদী পারাপার ব্যবস্থা। নদী তীরবর্তী রায়টা গ্রামে রয়েছে বড় বাজার, স্কুল ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দোকানপাট ও বিপণীকেন্দ্র। হেলাতলা গ্রামের আবু জাফর জানান, রায়টায় সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিনগুলোতে কোঠাবাড়ি, হেলাতলা ও শুভঙ্করকাটি গ্রামের মানুষের এই সাঁকো পেরিয়ে রায়টা গ্রামের হাটে যেতে হয়। রায়টা গ্রামের ম্যারেজ রেজিস্টার মাওলানা নুরুল হক দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, নদীর পশ্চিম পাশের কোঠাবাড়ি ও হেলাতলা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ শাকসবজি আসে রায়টা বাজারে। হঠাৎ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় রায়টার সবজিবাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া কোঠাবাড়ি গ্রামের স্কুলগামী কোমলমতি শিশুরা এই সাঁকো পেরিয়ে রায়টা সবুজবাগ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে আসতো। সাঁকো ভেঙে পড়ায় স্কুলপড়ুয়া শিশুদের এখন অনেক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। রায়টা সবুজবাগ সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, নদীর বিপরীত পাশের গ্রাম কোঠাবাড়ি থেকে তাঁর স্কুলে প্রায় ৫০/৬০ জনের মতো ছাত্রছাত্রী আসে। এদের সবাইকেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের এই সাঁকো দিয়েই স্কুলে আসতে হয়। এখন সাঁকোটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শিশুরা ভীষণ দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। বর্তমান এ অচলাবস্থা কাটাতে রায়টা গ্রামের শেখ সোবহান ড্রাম ব্যবহার করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ভাসমান ভেলা বানিয়েছেন। এই ভেলায় একবারে ৮/১০ জন নদী পার হতে পারছেন। স্কুল শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে এই ড্রামের ভেলায় চড়ে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হয়। এ বিষয়ে রোববার বেত্রবতীর তীরে রায়টা অংশে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে টেকসই সেতু নির্মাণের দাবিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন হেলাতলা গ্রামের কোঠাবাড়ি গ্রামের ফিরোজ, আবু জাফর, আলাইপুর গ্রামের নুরুল খান। কোঠাবাড়ি গ্রামের তৃষা, মিম, মরিয়ম, নুসরাত, ওয়াছিউর এরা সকলেই রায়টা সবুজবাগ সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা আরোও জানায়, তাদের সময়মত স্কুলে আসতে ও বাড়ি ফিরতে অনেক কষ্ট হয। একটা সেতু থাকলে খুব ভালো হতো বলে তারা জানায়। এলাকাবাসী জানান, একটি টেকসই কংক্রিট সেতু নির্মাণ করা হলে যানবাহনসহ কোমলমতি শিশু ও মানুষের পারাপার নিরাপদ হতো। এই সাঁকোর উভয় পাড়ের সড়ক কার্পেটিংও করা হয়েছে অনেক আগেই। একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা গেলে বেত্রবতীর দুই তীরের মানুষের বদলে যেতো জীবনযাত্রা। শুরু হতে পারতো এ জনপদের যোগাযোগের এক নবদিগন্তের।
এ বিষয়ে হেলতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, এই বাঁশের সাঁকোর সংস্কার আর এলাকার মানুষ চান না। তারা চান, টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক। তাহলেই হেলাতলার সঙ্গে কয়লা ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা নি:সন্দেহে বদলে দেবে মানুষের জীবনমান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2023
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd