নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর এ শিক্ষার ভীত স্থাপনে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কায়িক পরিশ্রমের ফলেই সদ্য স্কুলের গন্ডিতে পা রাখা শিশুদের নিবিড় পরিচর্যায় দীর্ঘ ২৪ বছর পাঠদান করে উজ্জ্বল দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেন। প্রত্যেক শিশুর মধ্যে থাকে দেশপ্রেম ও অসীম প্রতিভা। তা খুজে বের করে প্রস্ফুটিত করাই স্কুলটির লক্ষ্য।
প্রতি বছর এ বিদ্যাপীঠ থেকে শিশু শিক্ষার্থীরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারী স্কুলগুলোতে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেনের মুখ উজ্জ্বল করেই চলেছে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও হেড টিচার রফিকুল হাসানের সাথে একান্তে কথা বলে জানা গেছে, লাভ নয়, লোকসান নয়, শিশুদের প্রতিভা বিকাশিত করাই তার মূল লক্ষ্য।
১৯৯৬ সালের ১লা অক্টোবর বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র পলাশপোল স্টেটেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে ছায়াঘেরা সুনিবিড় প্রাচীর বেষ্টিত ৩ তলা ভবনে যাত্রা শুরু করে। যেখানে মাতৃ ও পিতৃ ¯েœহে প্লে থেকে কেজি টু পর্যন্ত নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা ৯৩০ জন। এর মধ্যে প্লে গ্রæপে ২৩০, কেজি গ্রæপে ২৩৫, কেজি ওয়ান ২৩৫, কেজি টু ২৩০ আসন সংখ্যা। আর এ শিক্ষার্থীদের শিফট অনুযায়ী ২৬ জন অভিজ্ঞ সম্পন্ন শিক্ষক, অফিস সহকারী, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৬০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘ চলার পথে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যখনই আধুনিক থেকে আরো আধুনিকের পথে ধাবিত ঠিক সেই মুহুর্তে মহামারী করোনা যাত্রাকে অনেকটাই থমকে দিয়েছে। তবুও এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হার থেমে ছিল না। স্কুলে ক্লাস না হলেও কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অভিভাবক একে অপরের সাথে যোগাযোগ রেখে নোট সরবরাহ করে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। এ করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সহ ছাত্র ছাত্রীদের বেতন মওকুপে ৫০ লক্ষাধিক টাকার উপরে তিনি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তবুও দমে যাননি। আবারো নতুন উদ্যমে নিজেকে কচি-কাচাদের মধ্যে খুজে পেতে স্কুল পরিচালনা শুরু করেছেন।
স্কুল প্রাঙ্গনে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা সহ সার্বিক তত্ত¡াবধায়ন ও ক্লাসরুমে সাউন্ড সিস্টেম সহ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া গত (৩০ অক্টোবর) শনিবার একটি বিশেষ দিনে স্কুলটিতে মিলাদ মাহফিল শেষে নতুন সংযোজন হয় ইলেকট্রিক ডিভাইস সহ ডাটাবেজ। যার মাধ্যমে অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের যাবতীয় খোঁজখবর সহ লেনদেন বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান বর্তমানে স্কুল ভ্যান দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস রুমে আনা নেওয়া অনেকটাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সে কারণে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেই স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাইক্রোবাস সংযোজন করা হবে। রয়েছে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড় সহ বৃত্তির ব্যবস্থা। এছাড়া প্রতি ক্লাসের সেরা ১০ জনকে বৃত্তি প্রদান সহ বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহরে বসবাসকারী একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকে পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা, সদাচারণ, সহমর্মিতা, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমী করে গড়ে তুলতেই সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেনই সেরা। এখানে নিরাপত্তা সহ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সন্তানকে সঠিকভাবে শিক্ষাদান প্রদান করা হয়।
Leave a Reply